অনায়াস জয়ে ম্যাচের সঙ্গে সিরিজও তামিমদের

ফল অনুমেয়ই ছিল। শুধু দৃশ্যপট দেখার অপেক্ষায় ছিলেন সমর্থকরা। যা হবার সেটিই হয়েছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাটিতে নামিয়ে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। দ্বিতীয় ম্যাচে জিতেছে ৭ উইকেটের ব্যবধানে।
২০০৯ সালে উইন্ডিজে খেলতে গিয়ে ওদের ঘরের মাটিতে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। তবে সেজন্য অবশ্য একটি অজুহাত দাঁড় করাতে পারে তারা, বিদ্রোহের কারণে সেবার ক্যারিবীয় মূল দলের অনেকেই সিরিজ খেলেননি। ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল। প্রায় এক যুগ পর আবার উঠে আসছে সেই প্রসঙ্গ। এবারও তুলনামূলক খর্ব শক্তির একটি দল উইন্ডিজ।
করোনার দোহাই দিয়ে বাংলাদেশ সফর থেকে নাম সরিয়ে নিয়েছেন ক্যারিবীয় মূল দলের ১০ জন ক্রিকেটার। দুজন আসেননি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে। তুলনামূলক দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছে উইন্ডিজ। এই দলের বিপক্ষে সিরিজ জয় অনুমেয়ই ছিল টাইগারদের। শেষপর্যন্ত হয়েছে সেটিই। তিন ম্যাচ সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সের কারণে রীতিমত পাত্তাই পায়নি সফরকারীদের এই দলটি। তবে সম্প্রতি মূল দল নিয়েও যে টাইগারদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়তে পারেনি ক্যারিবীয়রা। ২০১৮ সালে টেস্ট সিরিজে ভরাডুবির পরেও ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে ওয়ানডে সিরিজ জিতে আসে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ফিরতি সিরিজে ঘরের মাঠেও সিরিজ লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
এবার করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে প্রায় সাড়ে ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। সেখানেও বাজিমাত টাইগারদের। শুক্রবার উইন্ডিজকে ৭ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে ওদের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক সিরিজ জয় বাংলাদেশের। একই সাথে আন্তর্জাতিক আঙিনায় এটি বাংলাদেশের ২৭ তম ওয়ানডে সিরিজ জয়।
শুক্রবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে অসাধারণ বোলিং প্রদর্শনীতে উইন্ডিজকে ১৪৮ রানে আটকে ফেলে বাংলাদেশ দলের বোলাররা। তাতে ক্যারিয়ার সেরা সর্বোচ্চ ৪ উইকেট মেহেদী হাসান মিরাজের। সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান ভাগে নিয়েছেন দুটি করে। ব্যাট হাতে রভম্যান পাওয়েল সর্বোচ্চ ৪১ রানের ইনিংস খেলেন। বাকিরা যোগ দিয়েছেন আসা-যাওয়ায় মিছিলে।
১৪৯ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২২ রান করে আউট হন ওপেনার লিটন দাস। এদিন নাজমুল হোসেন শান্তও ফেরেন ১৭ রান করে। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে নিজের ৪৮ তম অর্ধশতক তুলে নেন তামিম। ৭২ বলে ফিফটি পূরণ করার পরের বলেই অবশ্য সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার। যেখানে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি।
এরপর সাকিব আল হাসানের অপরাজিত ৪৩ ও মুশফিকুর রহিমের ৯ রানের সুবাদে ১০০ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। এই জয়ের ফলে ওয়ানডে সুপার লিগের খাতায় ২০ পয়েন্ট অর্জন করলো টাইগাররা। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি আগামী ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
উইন্ডিজ: ১৪৮/১০, ৪৩.৪ ওভার (পাওয়েল ৪১, অটলে ২৪, বোনার ২০; মিরাজ ৪/২৫, মুস্তাফিজ ২/১৫, সাকিব ২/৩০)
বালাদেশ: ১৪৯/৩, ৩৩.২ ওভার (তামিম ৫০, সাকিব ৪৩*, লিটন ২২; রেফার ১/১৮, জেসন ১/২৯)
ফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী।
টিআইএস/এমএইচ/এটি