টানা ব্যর্থতায় চাপে আছেন বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা

মালদ্বীপ ম্যাচ হারের পর দুই দিন অনুশীলন হয়নি। কোচ অস্কার ট্যাকটিকস নিয়ে খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের সঙ্গে অনুশীলন শুরুর আগে আলোচনা করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই বল নিয়ে মাঠে নামেন জামালরা। হালকা ফিটনেসের কাজ সেরে পজেশনাল ও গেম খেলিয়েছেন কোচ। গরমের মধ্যে ভারী অনুশীলন সেশন শেষ করে খেলোয়াড়রা খানিকটা ক্লান্ত ছিলেন।
বাড়তি অনুশীলন হলেও খেলোয়াড়রা সবাই বেশ ভালোই আছেন জানিয়েছেন তারিক কাজী, ‘আমরা দুই দিন বিশ্রাম পাওয়ায় সবাই ভালো আছি। নেপালের বিরুদ্ধে আমাদের জেতার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।’ নেপালের সাথে জিততেই হবে এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ দল। তবে এ নিয়ে বেশ চাপ নিচ্ছেন না তারিকরা, ‘আমরা ম্যাচটি স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছি কোনো চাপ নিচ্ছি না। আমরা অনুপ্রাণিত হয়েই নেপালের বিপক্ষে খেলব।’
বাংলাদেশের গত তিন ম্যাচে ফরোয়ার্ডরা কোনো গোল করতে পারেননি। টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলতে হলে নেপালের বিপক্ষে জয়ের কোনো বিকল্প নেই। ফুটবল খেলায় জিতলে হলে গোলের বিকল্প কিছু নেই। বাংলাদেশের ফুটবলে সমস্যা স্কোরিং। ফরোয়ার্ডদের কাছে গোল যেন দূর আকাশের তারা।
নেপালের ম্যাচের আগে তাই খানিকটা চাপে ফরোয়ার্ডরা, জানালেন মাহবুবুর রহমান সুফিল। বললেন, ‘আমরা কিছুটা চাপে আছি। ডিফেন্ডাররা গোল করেছে এখন আমাদের গোল করার পালা’। তবে এই চাপটা দলের মধ্যে দিতে চান না সুফিল, ‘বেশি চাপ নেয়া যাবে না। বেশি চাপ নিলে ফলাফল অন্য রকম হতে পারে।’
ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাত আগামী ম্যাচে নেই। ইয়াসিন সম্পর্কে তার সতীর্থ তারিক বলেন, ‘ইয়াসিন অনেক ভালো খেলোয়াড়। আক্রমণেও ভূমিকা রাখে। তার বিকল্প আমাদের রয়েছে।’ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের দুই গোলের দুইটি করেছেন ডিফেন্ডাররা। তারিক নিজের গোল করার ইচ্ছে সম্পর্কে বলেন, ‘ফুটবলে সবাই গোল করতে চায়। আমিও সেটপিস, ডেডবল থেকে গোল করতে পারি।’
এজেড/এনইউ