অপুর ৬ উইকেট, দাপট শুভাগত-এনামুল-এবাদতদের

আজ (রোববার) শুরু হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট লিগের এবারের মৌসুম। উদ্বোধনী দিনেই তিন শহরের চারটি ভেন্যুতে মাঠে নেমেছে ৮টি দল। সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড-২ এ টায়ার ওয়ানের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ঢাকা বিভাগ ও স্বাগতিক সিলেট বিভাগ। যেখানে বল হাতে দাপট দেখিয়েছেন বোলাররা। চারদিনের ম্যাচের প্রথম দিনেই শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা।
এ ম্যাচে বল হাতে বাজিমাত ঢাকা বিভাগের বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুর। সিলেট বিভাগের বিপক্ষে একাই নিয়েছেন ৬ উইকেট। ঢাকা বিভাগের আরেক স্পিনার শুভাগত হোম চৌধুরী নেন ৩ উইকেট। এতে মাত্র ৬৭ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংস শুরু করে ১৭৬ রানে থামে ঢাকা। সিলেটের হয়ে স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র ৪ ও পেসার এবাদত হোসেন নেন ৩ উইকেট। প্রথম দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ রান পিছিয়ে আছে সিলেট।
সকালে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ঢাকার বোলারদের বোলিং তোপে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি সিলেট। সর্বোচ্চ ১৮ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন রাহাতুল ফেরদৌস। সায়েম আলম ১৭ ও আমিত হাসান ১০ রানের ইনিংস খেলেন। সিলেট অলআউট হয় ৬৭ রানে। ৮ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন অপু।
পরে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে পঞ্চাশ রানের গণ্ডি পার করার আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা বিভাগ। ওপেনার আব্দুল মাজিদ ৩৫ রান করে আউট হলে বিপদ বাড়ে দলটির। তবে শুভাগত হোম চৌধুরীর অর্ধশতকে লিড পায় ঢাকা। জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার খেলেন ৬৯ বলে ৫০ রানের ইনিংস। উইকেটরক্ষক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান।
অলআউট হওয়ার আগে স্কোর বোর্ডে ১৭৬ রানের পুঁজি পায় ঢাকা। সিলেটের হয়ে এনামুল ৬৬ রান দিয়ে ৪ ও এবাদত ৩৪ রান খরচ করে নেন ৩ উইকেট।
১০৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে সিলেট। তবে শুরুতেই ওপেনার সায়েমের উইকেট হারিয়ে বসে তারা। পরে ইমতিয়াজ হোসেনের ২২ ও অমিত হাসানের অপরাজিত ১১ রানের সুবাদে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৫ রান তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে সিলেট বিভাগ। আগামীকাল (সোমবার) ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ৭৪ রানে পিছিয়ে থেকে আবার ব্যাটিংয়ে নামবে স্বাগতিক শিবির।
টিআইএস/এটি/এনইউ