অজিদের গালিতে মানসিক শক্তি পেয়েছিলেন সিরাজ!

শেষ দুই দশকে বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ হয়েছে আর কোনো আলোচিত-সমালোচিত ঘটনা ঘটেনি, এমন নজির নেই। সর্বশেষ সিরিজেও হয়েছে। মাঠের পারফর্ম্যান্স তো আছেই! ভারতের চোট-সমস্যা, স্টিভেন স্মিথের পিচ মাড়িয়ে যাওয়াসহ আলোচিত ঘটনা ঘটেছে অনেক। সেই সব ছাপিয়ে আলোচিত হয়েছে সিরিজের তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্টে ভারতকে গ্যালারি থেকে দর্শকদের বর্ণবাদী মন্তব্য। তবে সেটা ‘শাপে বর’ হয়েই এসেছে দলের জন্য, জানালেন ভারতের পেসার মোহাম্মদ সিরাজ।
মোহাম্মদ শামির চোটে দ্বিতীয় টেস্টে অভিষেক হয় সিরাজের। খাদের কিনারা থেকে দলের ঘুরে দাঁড়ানোর অন্যতম কুশীলব বনে গিয়েছিলেন তিনি। তবে তৃতীয় টেস্টেই হয় অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা। সিডনিতে বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করার সময় দর্শকদের বর্ণবাদী আচরণের শিকার হতে হয় তাকে। সে ধরনটা কেমন ছিল, তা সিরাজরা মুখ ফুটে না বললেও ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, দর্শকদের কাছ থেকে ‘বানর’সহ আরও অনেক মানহানিকর কথা শুনতে হয়েছে যশপ্রিত বুমরাহ, সিরাজদের।
সে সময় দলীয় ম্যানেজমেন্টের নির্দেশ ছিল মাঠ ছেড়ে আসার। কিন্তু মাঠ আর ছাড়েননি অজিঙ্কা রাহানেরা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সিরাজ ঘটনাটি নিয়ে বলেন, ‘আমি আমার অধিনায়ক আজ্জু ভাইকে (আজিঙ্কা রাহানে) এ খারাপ আচরণের বিষয়ে জানিয়েছিলাম এবং তিনি আম্পায়ারের সাথে কথা বলেন। আম্পায়ার জানায়- আপনারা মাঠ ছাড়তে পারবেন। কিন্তু রাহানে বলেন- আমরা খেলবো। আপনারা এসব ব্যাপারে ব্যবস্থা নিন।’ এরপর তদন্ত করা হয়, ছয়জন দর্শককে বের করে দেয়া হয়।
সিরাজ জানান, সে বর্ণবাদী মন্তব্যই তাকে আরও বেশি মানসিক দৃঢ়তা দিয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ার দর্শকদের গালমন্দ শুনতে হয়েছিল আমাকে। বর্ণবাদী মন্তব্যগুলোই আমাকে মানসিকভাবে আরও বেশি শক্তিশালী করে তোলে। তবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটা ছিল, এসব বিষয়কে মাঠের খেলায় প্রভাব ফেলতে দেইনি আমি।
মোহাম্মদ সিরাজ, ভারতীয় পেসার
এবার সে পারফর্ম্যান্স ধরে রাখার লড়াই সিরাজের। জানালেন, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের সাফল্যেই থামতে চান না তিনি। বললেন, ‘আমি এই পারফর্ম্যান্সটিতেই থামতে চাইনা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজে আমি আরো ভালো পারফর্ম্যান্স উপহার দিতে চাই।’
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে সিরাজের নতুন লড়াই, যেদিন তার দল ভারত চেন্নাইয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হবে সফরকারী ইংল্যান্ডের।
এনইউ