চার অর্ধশতকে তিনশো ছোঁয়া পুঁজি বাংলাদেশের

সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ২৯৭/৬ ৫০ ওভার (মুশফিক ৬৪, রিয়াদ ৬৪*, তামিম ৬৪, সাকিব ৫১; জোসেফ ২/৪৮, রেইফার ২/৬১)
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেও নিজেদের ব্যাটিং গভীরতা পরীক্ষা করতে পারছিল না বাংলাদেশ দল। ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শুরুর ২ ম্যাচেই আগে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখানে সফলই বলতে হবে টাইগার বোলারদের। দুই ম্যাচেই দেড়শ রানের নিচে আটকে দিয়েছে সফরকারীদের। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে এসে ব্যাটিংয়ের গভীরতা পরিমাপের সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। চট্টগ্রামে তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফিফটিতে ২৯৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ।
আগের ২ ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করায় শক্তিমত্তায় তুলনামূলক দুর্বল উইন্ডিজের বিপক্ষে একাদশে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ ছিল বাংলাদেশ দলের সামনে। তবে বিশ্বকাপ সুপার লিগের ১০ পয়েন্ট মাথায় নিয়ে কোনোরকম ঝুঁকিতে যায়নি টাইহগাররা। এদিন দলে দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। পেসার রুবেল হোসেন ও হাসান মাহমুদের জায়গায় সুযোগ পান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও তাসকিন আহমেদ।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ দল। অধিনায়ক তামিমের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি লিটন দাস। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফিরেছেন শূন্য হাতে। গোটা সিরিজ জুড়ে ব্যর্থ নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট হাসলোনা আজও, তিন নম্বরে খেলতে নেমে মোটে ২০ রান করেন তিনি।
৩৮ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান তামিম, সঙ্গে যোগ দেন সাকিব। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে থাকেন দুজন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১১৬ বলে ৯৩ রান যোগ করেন তারা। মাঝে এই ফরম্যাটে নিজের ৪৯তম অর্ধশতক তুলে নেন তামিম। ফেরেন ৬৪ রান করে। ৮০ বলের ইনিংসটি এই বাঁহাতি ওপেনার সাজিয়েছেন ৩টি চার ও ১টি ছয়ের মারে।
তামিমের দেখানো পথে হাঁটেন সাকিবও। ৮১ বলে ৫১ রানে আউট হওয়া সাকিব অর্ধশতক তুলে নেন ৭৮ বলে। এরপর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন মুশফিক। নতুন ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে উইকেটে জমে যান তিনি। ৪৭ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে তামিমের সমান ৬৪ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ৫৫ বলের ইনিংটিতে ৪টি চারের সঙ্গে ছক্কা হাঁকিয়েছেন দুইটি। মুশফিকের ফেরার পর ইনিংসের শেষ দিকে দলীয় চতুর্থ অর্ধশতক তুলে নেন রিয়াদ। তার ফিফটি আসে মাত্র ৪০ বল থেকে।
শেষ দিকে রান আউটে কাটা পড়া সৌম্য সরকারের ৬ রানের সঙ্গে ৪৩ বলে রিয়াদের অপরাজিত ৬৪ ও সাইফউদ্দিনের ৫ রানের সুবাদে নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভার শেষে ২৯৭ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। উইন্ডিজের হয়ে আলজারি জোসেফ ও রায়মন রেইফার ২টি করে উইকেট নেন।
টিআইএস/এনইউ