বিশ্ব হ্যান্ডবল ফেডারেশনের নির্বাচনে কোহিনূর

তিন দশক বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারশেনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনূর। হ্যান্ডবলের পাশাপাশি দেশের ক্রীড়াঙ্গনের শীর্ষসংস্থা বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গেও জড়িত অনেক দিন থেকেই। ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম সিনিয়র সংগঠক দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এবার বিশ্ব হ্যান্ডবলে প্রতিনিধিত্ব করতে চান।
ইন্টারন্যাশনাল হ্যান্ডবল ফেডারেশনে (আইএইচএফ) নির্বাহী সদস্য হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বী করছেন কোহিনূর। সদস্য হিসেবে পদ মাত্র দুটি। এই পদে প্রার্থী সাত জন। সাত জনের মধ্যে ভোটাভুটিতে দ্বিতীয় হওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন কোহিনূর, ‘বাংলাদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার হ্যান্ডবলের প্রসারেও আমার ভূমিকা রয়েছে। সুযোগ পেলে বিশ্ব মঞ্চেও কাজ করতে চাই।’
সাউথ এশিয়ান হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ছিলেন কোহিনূর। এশিয়ান হ্যান্ডবলের নির্বাহী কমিটিতে ছিলেন না কখনো। এশিয়ার গণ্ডি পেরিয়ে হঠাৎ সরাসরি বিশ্ব হ্যান্ডবল ফেডারেশনে নির্বাচন করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব হ্যান্ডবল ফেডারেশনে দক্ষিণ এশিয়া তো নয়ই, এশিয়ারও প্রতিনিধিত্ব খুব কম। আমার ব্যক্তিগতভাবে এই পদ-পদবীর প্রতি আগ্রহ কম। আমার ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির অনুরোধে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা।’
৫-৮ নভেম্বর তুরস্কে বিশ্ব হ্যান্ডবল ফেডারেশনের কংগ্রেস। সেই কংগ্রেসে অনলাইন ভোটিং হবে। অনলাইন ভোটিং হওয়ায় এখন ঘরে বসেই ই-মেইল, ফোনের মাধ্যমে ভোট চাইছেন কোহিনূর।
হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সভাপতি নুরুল ফজল বুলবুল আইএইচএফের আরবিট্রেশন কমিশন সদস্য ছিলেন আগে। এবারও সেই কমিশনের সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশের সংগঠকদের মধ্যে ক্রীড়ায় বৈশ্বিক সংস্থার সদস্য খুবই সীমিত। মাহফুজা আক্তার কিরণ ফিফা কাউন্সিল সদস্য, নাজমুল হাসান পাপন আইসিসির বোর্ড পরিচালক। বৈশ্বিক সংস্থার প্রতিনিধিত্ব কম হলেও মহাদেশীয় ক্রীড়া সংস্থায় বাংলাদেশি অনেক সংগঠক বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
এজেড