নাটুকে মিলান ডার্বিতে হেরে বিদায় ইব্রাদের

মিলান ১ ২ ইন্টার
ইব্রা ৩১ লুকাকু ৭১
এরিকসেন ৯০+৭
ইতালিয়ান ফুটবলে শেষ দশ বছরে প্রায় অচ্ছ্যুতই হয়ে পড়েছিল দুই মিলান। চলতি মৌসুমে সে হারানো গৌরবটা ফিরে পেয়েছে দুই দল। আছে লিগের শীর্ষেও। তবে ডার্বির ঝাঁজটা যেন ফিরছিল না। মঙ্গলবার রাতে সে ঝাঁজটাও ফিরলো, সঙ্গে ফিরলো নাটকীয়তাও। সে ডার্বিতে ২-১ ব্যবধানে হেরে কোপা ইতালিয়া থেকে ছিটকে গেছে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচদের এসি মিলান।
অথচ সেই মিলানই বিরতিতে গিয়েছিল এগিয়ে থেকে। ইব্রার ৩১ মিনিটে করা ক্লিনিকাল ফিনিশ কোচ স্তেফান পিওলির দলকে দেখাচ্ছিল কোপা ইতালিয়ার সেমিফাইনালের স্বপ্ন। সে স্বপ্নে আঁচড় লাগে ৪৫ মিনিটে, যখন ইব্রা তার সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সতীর্থ রোমেলু লুকাকুর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে দেখেন হলুদ কার্ড। বিরতিতে যাওয়ার সময়েও সাবেক সতীর্থ থেকে দুয়ো শুনে টানেল পেরিয়েছেন। দ্বিতীয়ার্ধের ১৩ মিনিটে আলেক্সান্দার কোলারভকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে পান মার্চিং অর্ডার। সংখ্যাগতভাবে এগিয়ে যাওয়ার সুবিধাটা ভালোভাবেই কাজে লাগায় ইন্টার, ফিরে আসে ম্যাচে।
সেটা গোলে রূপ নিতে সময় নিল মাত্র ১৩ মিনিট। নিকো বারেলাকে নিজেদের বিপদসীমায় ফাউল করে ইন্টারকে পেনাল্টি উপহার দেন রাফায়েল লিয়াও। স্পটকিক থেকে দলকে সমতায় ফেরান সেই লুকাকু।
এরপর উজ্জীবিত ইন্টার বেশ ক’বার সুযোগ সৃষ্টি করেছে এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু জিয়ানলুইজি ডনারুমার পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া গোলরক্ষক সিপ্রিয়ান তাতারুসানুর কল্যাণে রক্ষা পায় মিলান। তবে ম্যাচের অন্তিম মূহুর্তে আর রক্ষা হয়নি দলটির, বক্সের একটু বাইরে পাওয়া ফ্রি কিকে দারুণ এক গোল করে বসেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। ডেনিস এই মিডফিল্ডারের মৌসুমের প্রথম গোলে মিলানকে বিদায় করে শেষ চার নিশ্চিত করে ইন্টার। আজ বুধবার জুভেন্তাস-স্পালের কোয়ার্টার ফাইনালের জয়ী দল সেমিতে মুখোমুখি হবে কোচ আন্তনিও কন্তের ইন্টারের।
জয়ের নায়ক এরিকসেন শেষ আধ মৌসুমে দলে অনেকটা ব্রাত্যই ছিলেন, ছিল তার প্রিমিয়ার লিগে ফেরার গুঞ্জনও। তবে সেসব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে কোচ কন্তে বলেন, ‘আমি এক মাস ধরেই বলে আসছি, কেউ দল ছাড়বে না, কেউ আসবেও না। সে একজন বুদ্ধিমান খেলোয়াড়, তার যথেষ্ট গুণ আছে, আর সে আমাদের প্রকল্পের একটা অংশ।’
এদিকে ইব্রা যেন মিলানের খলনায়ক। গোল করেছেন বটে, কিন্তু তার লাল কার্ডেই যে ম্যাচে ফেরার সুযোগ এসেছে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে! আর তাই ম্যাচ শেষে সতীর্থদের কাছে নাকি ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি, জানালেন কোচ পিওলি। বললেন, ‘সে যেমন মহান এক চ্যাম্পিয়ন, স্বভাবতই সে ক্ষমা চেয়েছে। দলকে সাহায্য করার তীব্র ইচ্ছাতেই আটকে গিয়েছিল সে!’
এনইউ/এটি