নেইমার: ঈশ্বর রক্ষা করেছেন আমাকে

লিওঁর বিপক্ষে চোট পেয়ে নেইমারের শঙ্কা ছিলো বড় সময়ের জন্যে ছিটকে যাওয়ার। তবে সম্প্রতি পরীক্ষায় দেখা গেছে পায়ে বড় ধরণের চিড় ধরেনি তার। তাই বড় সময়ের জন্যে ছিটকে যেতে হচ্ছে না তার। এরপর নেইমার ইন্সটাগ্র্যামে জানালেন, ঈশ্বর তাকে বড় কিছুর হাত থেকে রক্ষা করেছেন তাকে।
লিঁওর বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে হারের ম্যাচে পিএসজির আরও বড় দুর্দশা হয়ে আসে নেইমারের চোট। সেদিন ম্যাচের শেষ মুহূর্তে স্বদেশী থিয়াগো মেন্দেজের কড়া ফাউলের শিকার হয়ে অশ্রুসজল চোখ নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। নেইমার জানালেন, সেদিনের এই কান্নায় মেশানো ছিলো ব্যথা, ভয়, যন্ত্রণা আর সার্জারি-ক্রাচের আশঙ্কা।
তবে সেই শঙ্কা উড়ে গেছে এখন। বিশ্বের সবচেয়ে দামী এই ফুটবলারের আশা, শীঘ্রই ফিরবেন মাঠে। ইন্সটাগ্র্যামে তিনি বললেন, ‘এটা আরও খারাপ কিছু হতে পারতো, আরও একবার ঈশ্বর আমাকে বড় কিছুর হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। আমি সেদিন কেঁদেছিলাম ভয়, ব্যথা, যন্ত্রণা, অস্ত্রোপচার, ক্রাচে ভর করে হাঁটার ভয় আর দুঃসহ কিছু স্মৃতির কারণে। আশা করছি শীঘ্রই সেরে উঠে মাঠে ফিরতে পারবো।’
গত সোমবার পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় পায়ে কোনো প্রকারের চিড় নেই নেইমারের। তবে তার চোট কতোটা গুরুতর সেটা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও ৪৮ ঘণ্টা।
চোটের সঙ্গে সম্পর্কটা অবশ্য নতুন কিছু নয় নেইমারের। শেষ চার বছরেই কেবল ৩৯৭ দিন সময় চোটের কারণে মাঠের বাইরে কাটিয়েছেন ব্রাজিলীয় তারকা। যে কারণে গেলো বছর কোপা আমেরিকাতেও খেলা হয়নি তার।
এদিকে লিঁওর বিপক্ষে ম্যাচে নেইমারের পাওয়া চোটে তার বাবা নেইমার সিনিয়রও বেশ ক্ষুব্ধ, ফরাসি লিগে যেসব ট্যাকলের শিকার হন সেসবেরও সমালোচনা করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘কত দিন এমনটা চলবে? এসব সহিংসতাকে কত দিন সহ্য করতে হবে আমাদের? কেনো একে প্রথম বারেই বন্ধ করা যাচ্ছে না কেন অষ্টম কিংবা নবম ট্যাকলের জন্যে অপেক্ষা করতে হবে? কেউ যখন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে, তখন সেটা লাল কার্ড কিনা সেটা জানতে কেনো ভিএআরের শরণাপন্ন হতে হবে?’ লিওঁর বিপক্ষে পাওয়া চোটের কারণে অন্তত এক মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে, ধারণা ফরাসি সংবাদ মাধ্যমে।
এনইউ