আরচ্যারিতে সরকারের দৃষ্টি চান দিয়া সিদ্দিকী

এশিয়ান আরচ্যারিতে রৌপ্য জয় আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে অনেক বড় অর্জন। ক্রিকেট, ফুটবলের বাইরে অন্য ডিসিপ্লিনগুলোতে সুযোগ-সুবিধা তেমন নেই। আজ (শুক্রবার) বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে এশিয়ান আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল শেষে রৌপ্যজয়ী আরচ্যার দিয়া সিদ্দিকী বলেন, ‘সরকার ও পৃষ্ঠপোষকদের আমাদের দিকে আরো একটু দৃষ্টি দেওয়ার অনুরোধ করব। আমাদের খেলায় যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। আরেকটু সহায়তা পেলে আরো ভালো কিছু করা সম্ভব।’
দিয়া এইচএসসি পরীক্ষার্থী হলেও তার চিন্তা-চেতনা অত্যন্ত পরিপক্ব। এক সতীর্থ ফুটবলারের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘আমার এক বন্ধু ফুটবল খেলতে গিয়েছিল চট্টগ্রামে। সে বলল অর্থ পাওয়ায় খেলায় বাড়তি আগ্রহ পেয়েছে। খেলার পাশাপাশি ক্রীড়াবিদরা যখন আর্থিক নিশ্চয়তা ও স্বচ্ছলতা পান তখন পারফরম্যান্সও ভালো হয়। তাই বলে আমি বলছি না, অতিরিক্ত অর্থ বা অর্থই আমাদের আকর্ষণ।’
এশিয়ান আরচ্যারিতে বাংলাদেশের এর আগে কোনো পদক ছিল না। এবার এক রৌপ্য ও দুই ব্রোঞ্জ পেয়েছে বাংলাদেশ। এতে সন্তুষ্ট বাংলাদেশ কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ, ‘আমি ওদের পারফরম্যান্সে খুশি। ওরা সবাই ভালো খেলেছে। এখানে আমরা হয়তো সোনা জিততে পারিনি। কিন্তু আমরা তো রূপা জিতেছি। এটা আসলে ফাইনালের মঞ্চ। এখানে পারফর্ম করতে আরও সময় লাগবে ওদের। তবে শেষ সেট কিন্তু ওরা বেশ ভালো তির ছুঁড়েছে।’
ফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার আরচ্যারদের সঙ্গে তেমন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারেননি। এই প্রসঙ্গে দিয়া সিদ্দিকী বলেন, ‘আজ প্রথম দিকে হয়তো সেভাবে মারতে পারিনি। তবে শেষ দিকে এসে ভালো খেলেছি। এখানে বাতাসটা বুঝতে পারিনি প্রথম সেটে। আর দ্বিতীয় সেটে আমার তির আটকে গেছিল। ওরা আসলে একই ধারবাহিকতায় তির ছুঁড়েছে। আমাদের আত্মবিশ্বাসটা ওই রকম পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে।’
আব্দুল হাকিম রুবেল বলেন, ‘এই হার থেকে অনেক কিছু শেখার আছে আমাদের। এখানে কিছু ভুল বুঝতে পেরেছি, যেটা শুধরে পরবর্তীতে আরও ভালো খেলার চেষ্টা করব আমি। তারপরও আমার নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে আমি অনেক খুশি। এ পর্যন্ত যত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলেছি এর মধ্যে সেরা স্কোর হয়েছে এবার।’
এজেড/এমএইচ