ওয়াসিমের অন্য রকম দলবদল

বাফুফে ভবনে অনেক সাবেক ফুটবলারদের যাতায়াত থাকলেও ওয়াসিম ইকবাল খুব একটা আসেন না। আজ দলবদলের ভিড়ে সাবেক এই তারকা ফুটবলার বাড়তি নজর কেড়েছেন। তার ফুটবলার প্রায় পুরোটাজুড়ে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। পরবর্তীতে খণ্ডখণ্ডভাবে কোচিংটাও ব্রাদার্সকে ঘিরে। তবে আজ (মঙ্গলবার) তিনি এসেছিলেন শেখ রাসেলের ম্যানেজার হয়ে খেলোয়াড়দের নাম জমা দিতে।
ওয়াসিম ইকবাল বাংলাদেশের সেরা ফুটবলারদের একজন। দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা উইঙ্গার মাস দু’য়েক হলো শেখ রাসেলের হয়ে কাজ করছেন। আজ যখন শেখ রাসেলের হয়ে ফরম জমা দিলেন। তখন ওয়াসিমের হৃদয়ে খানিকটা বেদনার সুর। তিনি যে মৌসুমে একটি ক্লাবের ম্যানেজার হলেন, ওই মৌসুমে তার প্রিয় ক্লাব ব্রাদাস ইউনিয়ন প্রিমিয়ার লিগে নেই।
অনেক দিন পর ফুটবলে সক্রিয় হয়ে ব্রাদার্সের বিষয়টি ভীষণ পোড়াচ্ছে ওয়াসিমকে, ‘যখন মাঠে গিয়ে ব্রাদার্সকে দেখব না, তখন খুবই খারাপ লাগবে। ব্রাদার্স ইউনিয়ন ছাড়া প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ হবে এটা কখনো ভাবনায়ও আনিনি।’ ওয়াসিম ইকবাল ব্রাদার্স ক্লাবের এলাকা গোপীবাগেই থাকেন।
আবেগ কিছুটা দূরে সরিয়ে পেশাদারিত্বের সুরে বলেন, ‘এখন দায়িত্ব হিসেবে শেখ রাসেল নিয়ে আমার ভাবনা। এখানে ম্যানেজার হিসেবে খেলোয়াড়, কোচদের বিভিন্ন বিষয় দেখাশোনা করাই আমার কাজ।’
ওয়াসিম ইকবাল মাঝেমধ্যে ব্রাদার্স ইউনিয়নে কোচিং করলেও ম্যানেজার হিসেবে তার তেমন অভিজ্ঞতা নেই। শেখ রাসেল দেশের এখন একটি শীর্ষ ক্লাব। দেশি, বিদেশি ফুটবলার কোচিং স্টাফ সামলানোর দায়িত্ব উপভোগই করছেন জানালেন, ‘দায়িত্বটি আমার জন্য নতুন হলেও সবার সমান সহযোগিতা পাচ্ছি।’
শেখ রাসেলের হেড কোচ সাইফুল বারী টিটু ওয়াসিমকে পাশে পাওয়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন, ‘ওয়াসিম ভাই বাংলাদেশের ফুটবলের অনেক বড় তারকা। তার অভিজ্ঞতা থেকে খেলোয়াড়দের এমনকি আমাদের অনেক কিছু জানার রয়েছে।’
মোহামেডানে কয়েক জন ফুটবলার ও সমর্থকদের নিয়ে আসলেও শেখ রাসেল অবশ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে এসে দলবদল সম্পন্ন করেছে। শেখ রাসেল গত কয়েক বছরে বড় বাজেটের দল গড়লেও মাঠে তেমন সাফল্য পায়নি। এবার সাদ উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলার দলে ভিড়িয়েছে ক্লাবটি। শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারে কি না সেটাই দেখার বিষয়।
এজেড/এমএইচ