চট্টগ্রামে বসছে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা ‘ড্রপ ইন পিচ’
বাংলাদেশের উইকেট মানেই স্পিন সহায়ক, মন্থর। ঘরের মাঠে বাজিমাত করলেও দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে গিয়ে ভুগতে হয় স্পিনারদের। ঘাসের উইকেটে বল করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ে ঘূর্ণি বোলারদের জন্য। কিছুদিন আগে নিউজিল্যান্ড থেকে ঘুরে এসে নাকি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চট্টগ্রাম বিভাগের এক কর্তার কাছে সেখানকার উইকেটের প্রশংসা করেছেন স্পিনার নাঈম হাসান। আক্ষেপ করেছেন ঘরের মাঠে ‘হালকা’ ঘাসের উইকেটে অনুশীলন করতে না পারার জন্য।
নাঈমের সে কথা মনে ধরেছে বিসিবির। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া থেকে দুটি করে চারটি পিচ আনাচ্ছে ক্রিকেট বোর্ড। ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার দুই পিচ চলে এসেছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে চলে আসবে ইংল্যান্ডের পিচ দুটিও। যদিও পিচগুলো সরাসরি বিসিবি আনাচ্ছে না। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বা চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থারও কোন হাত নেই। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পাশে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আধুনিক ইনডোর তৈরি করে দিচ্ছে সিডিএ এবং জাপানি প্রতিষ্ঠান জাইকা।
মূলত বিনিময় চুক্তিতে এই ইনডোর তৈরি করে দিচ্ছে তারা। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএর) প্রকল্প সাগরিকা-পোর্ট কানেক্টিং রোডের ফ্লাইওভারের কারণে স্টেডিয়ামের পুরাতন ইনডোর ভাঙা পড়া ও জায়গা ব্যবহারের ক্ষতিপূরণ হিসেবে নতুন ইনডোরটি তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে।
বিসিবির ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারি রুবেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ইনডোরের আমরা চারটি উইকেট রাখছি। যার দুটি অস্ট্রেলিয়া, দুটি ইংল্যান্ড থেকে আনা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে ঘাসের উইকেটগুলো ইতোমধ্যে আনা হয়ে গেছে। আর ইংল্যান্ডেরগুলো পরে আসবে। এগুলোও ঐ প্রকল্পের অংশ। আমরা কেবল তাদের পরামর্শ দিয়েছি। আমাদের নাঈমরা (নাঈম হাসান) বলছে তারা বাইরে গেলে এমন উইকেটে খেলে।’
ইনডোরের কাজ প্রায় শেষ পথে। মাস দুয়েক পরেই অনুশীলনের উপযোগী হয়ে যাবে। সেখানে বসবে সব মিলিয়ে চারটি উইকেট। বিসিবি থেকে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার উইকেট আবদার করলে সেটি কোন অজুহাত ছাড়াই মেনে নিয়েছে ইনডোর নির্মাণ করা প্রতিষ্ঠানটি।
ফজলে বারি বললেন, ‘ইনডোরের যে ব্যাপারটা এটাতো বিসিবি বা এনএসসির কিছু না। সিডিএর প্রকল্পের জন্য আমাদের পুরোনো ইনডোর ভেঙেছে। ফলে তারাই আমাদের ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন একটি ইনডোর করে দিচ্ছে। প্রায় সব কাজই শেষদিকে। আশা করি আগামী দুই মাসে বাকি কাজ শেষ হয়ে যাবে।’
ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া থেকে যে পিচগুলো আমা হচ্ছে তাকে বলা হয় ড্রপ ইন পিচ। মানে যে পিচ মাঠে প্রস্তুত করা হয়নি। মাঠের বাইরে পিচ প্রস্তুত করে এনে মাঠে বসানো হয়েছে।
১৯৭০ সালে প্রথমবারের মতো এমন পিচ ব্যবহার শুরু হয়। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডের মাঠে এই পিচের ব্যবহার শুরু হয় ২০১৩ সাল থেকে। আগের পিচের সাথে পার্থক্য বলতে নতুন পিচ কিছুটা অসমতল বলা চলে।
টিআইএস/এনইউ