বিপর্যয়ে পড়ে চা খেতে গেল বাংলাদেশ দল

প্রায় প্রতি ম্যাচেই বদলানো হচ্ছে ওপেনিং জুটি। রঙিন পোশাক থেকে সাদা পোশাক, সাদা বল থেকে লাল বল- ফায়দা হচ্ছে না কোথাও। বাংলাদেশ দলের উদ্বোধনী জুটি যেন এক বিভীষিকার নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওপেনিং জুটিতে বৈচিত্র্য আনতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে অভিষেক করানো হয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপজয়ী সদস্য মাহমুদুল হাসান জয়কে। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান হতাশ করে ফিরেছেন শূন্য হাতে।
নামমাত্রই ডানহাতি-বাঁহাতি উদ্বোধনী জুটি; সেটি ভেঙে গেল ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই। জয় আউট হওয়ার পর উইকেটে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি বাঁহাতি ওপেনার সাদমানও। দলীয় ২০ রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনের খেলা শেষে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ২২ রান। অধিনায়ক মুমিনুল হক রান আউটে কাটা পড়েন ৩ রান করে। নাজমুল হোসেন শান্ত ১৩ রান নিয়ে চা বিরতির পর তৃতীয় সেশন শুরু করবেন।
দলীয় স্কোর ৩০০ তুলে দ্বিতীয় সেশনের মাঝামাঝি ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে শনিবার শুরু হওয়া ম্যাচে খেলা হয় ৫৭ ওভার, রোববার দ্বিতীয় দিনে ৬.২ ওভার খেলা হওয়ার পর পরিত্যক্ত হয়ে যায় দিনের খেলা, সোমবার তৃতীয় দিন কোনো বলই মাঠে গড়ায়নি। আজ (মঙ্গলবার) ম্যাচের চতুর্থ দিনে নির্দিষ্ট সময়েরও দেড় ঘণ্টা পর শুরু হয় খেলা।
চতুর্থ দিনেও সূর্যের দেখা নেই। স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া। এমন কন্ডিশনে পাকিস্তানি পেসাররা যে বাজিমাত করবেন সেটি অনুমেয়ই ছিল। প্রথম ওভারে নতুন বল হাতে নিয়ে সেই উত্তাপে রসদ জোগালেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তবে আলোকস্বল্পতার কারণে আম্পায়াররা জানালেন, পেসারদের দিয়ে বল করানো যাবে না। সে সিদ্ধান্ত হাসিমুখে মেনে নিলেন বাবর। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার থেকে বল তুলে দিলেন স্পিনারদের হাতে।
পেসারদের শূন্যতা বুঝতে দিলেন না নোমান আলি, সাজিদ খানরা। ইনিংসের তৃতীয় ও নিজের প্রথম ওভারেই বাজিমাত সাজিদের। অফ স্টাম্পের খানিকটা বাইরে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন বলটা। তাতেই খোঁচা দিয়ে বসলেন বাংলাদেশের অভিষিক্ত ওপেনার। স্লিপে থাকা বাবর আজমের সেটা তালুবন্দি করতে কোনো সমস্যাই হয়নি। শূন্য রানে ফেরেন জয়।
সুবিধা করতে পারেননি সাদমান ইসলামও। নতুন ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে যেখানে বড় জুটিতে দলকে বিপদ মুক্ত করবেন, সেখানে সাজিদ খানের বাউন্স করা বলে পয়েন্টে খেলতে গিয়ে হাসান আলির হাতে ধরা পড়েন সাদমান। এই ওপেনার ২৮ বলে ৩ রান করে ফেরেন সাজঘরে। সাজিদের পরের ওভারে রান আউটের শিকার অধিনায়ক মুমিনুল হক। আউট হন ১ রান করে।
২২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে স্বাগতিক শিবির।
টিআইএস/এমএইচ/জেএস