উইকেটের কারণেই আক্রমণাত্মক খেলেছে বাংলাদেশ

পাঁচদিনের ম্যাচের সাড়ে চারদিন চলে যাওয়ার পর নিজেদের প্রথম ইনিংস ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ দল। পাকিস্তান ৩০০ রানে ইনিংস ঘোষণা করার পর বাংলাদেশ দল ব্যাটিংয়ে নামে। যেখানে ভাবা হচ্ছিল ড্রয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করবে স্বাগতিকরা, সেখানে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বিপর্যস্ত গোটা দল। টেস্ট খেলতে নেমে প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের সবাই ব্যাট করে টি-টোয়েন্টি মেজাজে। এতে ৭১ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।
যে ম্যাচে বাংলাদেশ দলের জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ, দেখেশুনে খেলে ড্র করলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট মিলবে, সেখানে কেন এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং? চতুর্থ দিনের খেলা শেষে স্বাগতিকদের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে জানালেন, রক্ষণাত্মক খেললে উইকেট কঠিন মনে হয়, এজন্য নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী বড় শট খেলে রান তুলতে চেয়েছেন।
শান্ত বললেন, ‘সাধারণ পরিকল্পনাই ছিল। যার যার স্বাভাবিক গেম খেলার পরিকল্পনা ছিল। ওরকম আলাদা কোনো পরিকল্পনা ছিল না। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের একটা কারণ ছিল- উইকেটে যত রক্ষণাত্মক খেলবেন তত কঠিন হয়ে উঠবে। এখানে রান করাও গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য ব্যাটসম্যানরা যার যে শটে ভালো দক্ষতা আছে তারা সেই শট খেলতে চেয়েছে।’
সঙ্গে যোগ করেন শান্ত, ‘এখানে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেললে আউট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। দুর্ভাগ্যবশত এক্সিকিউশন ওরকম হয়নি। এই উইকেটে রক্ষণাত্মক থাকলেই সমস্যা হত।’
মঙ্গলবার চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশ দল ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে যে ৭৬ রান তুলেছে, তার ৩২ রানই এসেছে বাউন্ডারি থেকে।
টিআইএস/এটি