বাংলাদেশের পেসারদের ‘কমন সেন্সের’ অভাব দেখছেন সুজন

বাংলাদেশে ভালো মানের পেস বোলারদের আক্ষেপ দীর্ঘদিনের। এই আক্ষেপ হতাশায় রূপ নেয় টেস্ট সংস্করণে। ধারাবাহিকতার অভাব স্পষ্ট। ঘণ্টায় ১৪০ কিঃমিঃ গতিতে বল করলেও সুবিধা আদায় করতে পারেন না। মন্থর উইকেট হোক বা পেস বান্ধব, কোন জায়গাতেই ম্যাচ জেতার মতো পারফরম্যান্স করতে পারছেন না পেসাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান সিরিজেও এই দৈন্যতা ফুটে উঠেছে। পেসারদের এমন অবস্থার জন্য তাদের ‘কমন সেন্সের’ অভাব দেখছেন জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ।
আজ (মঙ্গলবার) মিরপুরে সংবাদ মাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে সুজন বললেন, ‘এটা (টেস্টে ভালো মানের পেসার) যেদিন আল্লাহ দেয়। এ ছাড়া আর কী বলবো। প্রচুর অনুশীলন করে, ৬ ফিট লম্বা, ১৪০ গতিতে বল করে কিন্তু কোচ তো কাউকে গুলিয়ে খাইয়ে দিতে পারবে না। এটা কমন সেন্সের বিষয়। কোচরা অনুশীলন করায় কিন্তু খাইতে তো হবে আপনার। চিবাইতেতো হবে আপনার। আপনি যদি চিবাতে না পারেন! মাশরাফি কীভাবে উইকেট পেয়েছে? তাপস বৈশ্য কীভাবে উইকেট পেতো?’
বাংলাদেশের উইকেট মানেই স্পিন সহায়ক মন্তর উইকেট। পেসারদের জন্য ‘নিষ্প্রাণ’ বলা যায়। অথচ পাকিস্তানি পেসাররা বাজিমাত করে চলেছেন। ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশে হারানো ২১ উইকেটের ১৩টিই পেসারদের দখলে। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে সফরকারী পেসাররা নিয়েছেন ১৬ উইকেট। অথচ উল্টো অবস্থান বাংলাদেশি পেসারদের। চট্টগ্রাম টেস্টে মোটে ২ উইকেট পেয়েছেন পেসাররা। ঢাকা টেস্টে আবহাওয়া অনুকূলে পেয়েও সুবিধা করতে পারেননি এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদরা।
জাতীয় দলের পেসারসের উপর হতাশা প্রকাশ করতে গিয়ে অতীতে ফিরে গেলেন খালেদ মাহমুদ, ‘তখন তো আমরা আরও পারতাম না, আরও জানতাম না। এখন তো আমাদের বোলিং কোচ আলাদা, এই কোচ, ঐ কোচ আলাদা। এটা বোলিং কোচের কাছে প্রশ্ন করলে ভালো হতো। বোলারদের ভুলটা হলো কমন সেন্স। এই উইকেটে কীভাবে বল করতে হবে, উইকেটে বল ধরতেছিলো কিন্তু এরপরও আমরা পিছে পিছে বল করেছি। এটাতো বোলিং কোচ উত্তর দিবে। বোলিং কোচের পরিকল্পনা যদি প্রয়োগ করতে না পারে তাহলে কোচকে জিজ্ঞেস করবে। ওদের শক্তির জায়গা কোনটা দুর্বল জায়গা কোনটা তারা জানবে।’
সঙ্গে যোগ করেন তিনি, ‘আমি একটা ম্যাচের কথা বলি জাস্টিন ল্যাঙ্গার ও ম্যাথু হেইডেন ব্যাট করছিলেন অস্ট্রেলিয়াতে, আমি তখন অধিনায়ক। ডেভ হোয়াটমোর পরিকল্পনা দিয়েছে আমাদের যেন ওদের শক্তির জায়গায় বল না করি, এ জন্য আমরা বাইরে বাইরে বল করে গেছি। আমার কথা হলো আমি জোরে বল করি কিন্তু স্কিল একটা ভিন্ন জিনিস।’
টিআইএস/এমএইচ