চোখে না দেখলেও ব্যাটে-বলে আলো ছড়াচ্ছেন কক্সবাজারের আরিফ

জাতীয় লিগে কুতুবদিয়ার হয়ে দুর্দান্ত খেলে আরিফ উল্লাহ বি-৩ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ জাতীয় ব্লাইন্ড ক্রিকেট দলে জায়গা করে নিয়েছেন। এর আগেও তার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৯ ডিসেম্বর পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে দলের সাথে ভারতের ভূপাল যাচ্ছেন তিনি।
দলে ব্যাটিং বোলিংয়ের পাশাপাশি পরিশ্রমী ফিল্ডার হিসেবেও খ্যাতি রয়েছে আরিফ উল্লাহর। চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র আরিফ পেশায় একজন সরকারি চাকুরিজীবী। তিনি কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মিয়াজীর পাড়ার সাবেক এমইউপি নুরুল ইসলামের ছেলে।
আরিফ ঘরোয়া ক্রিকেটে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্লাইন্ড ক্রিকেট দলের প্রতিনিধি। লাল-সবুজের জার্সিতে ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন আরিফ। দেশের হয়ে খেলতে ভারত, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং নিউজিল্যান্ড সফর করেছেন তিনি।
ক্রিকেটে কিভাবে জড়ালেন, এমন প্রশ্নে আরিফ উল্লাহ বলেন, ‘দ্বীপের আরেক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ক্রিকেটার তানজিলের মাধ্যমে এই বিশেষ ধরনের ক্রিকেট সম্পর্কে জানতে পারি। পরে আগ্রহবশত কক্সবাজার জেলা দলে ট্রায়ালের মাধ্যমে ভর্তি হয়ে অনুশীলন চালিয়ে যায়। খেলা ভালো রপ্ত করতে পারায় ২০১৭ সালে প্রথমবারের মত চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্লাইন্ড ক্রিকেট দলে সুযোগ পাই।’
চট্টগ্রাম ব্লাইন্ড ক্রিকেট ক্লাবের পৃষ্টপোষক ও বাংলাদেশ ব্লাইন্ড ক্রিকেট কাউন্সিলের সিনিরয়র ভাইস চেয়ারম্যান লায়ন দিদারুল আলম চৌধুরী জানাচ্ছিলেন, আরিফ বেশ কয়েক বছর ধরে দেশ এবং দেশের বাইরে ব্লাইন্ড ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন, তিনি খুবই পরিশ্রমী খেলোয়াড়। আরিফসহ জাতীয় দলের স্কোয়াডে এবার চট্টগ্রাম থেকে সবমিলে তিনজন জায়গা করে নিয়েছেন।
জীবন সংগ্রামে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের অনুপ্রেরণা যোগাতে ১৯২২ সালে অষ্ট্রেলিয়ায় এই খেলার প্রবর্তন হয়। নিয়ম কানুন স্বাভাবিক ক্রিকেটের মতো হলেও বোলিংয়ে বিস্তর তফাৎ রয়েছে। একাদশে চারজন সম্পূর্ণ অথবা আংশিক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী খেলেন।
সাইদুল ফরহাদ/এটি/এনইউ