ইংলিশদের এভারেস্টসম চ্যালেঞ্জ অস্ট্রেলিয়ার

সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া ৪৭৩/৯ ডিক্লে. ও ২৩০/৯ ডিক্লে. (হেড ৫১, লাবুশেন ৫১)
ইংল্যান্ড ২৩৬ অলআউট ও ২০/১ (বার্নস ১৬*; রিচার্ডসন ৮/১)
অস্ট্রেলিয়া চালকের আসনে চলে গিয়েছিল আগের দিনই। সুযোগ ছিল ইংলিশদের ফলো অন করানোরও। তবে সেটা অজিরা করেনি, নেমেছিল ব্যাটিংয়ে। অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনে এরপর অজিদের রান একটা করে বেড়েছে, আর তাদের জায়গাটাও পোক্ত হয়েছে একটু একটু করে। শেষমেশ ২৩০ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে। ইংলিশদের সামনে তাই চ্যালেঞ্জটা দাঁড়িয়েছে এভারেস্টসম। জিততে হলে ৪৬৮ রান চাই দলটির।
অস্ট্রেলিয়ার ছুঁড়ে দেওয়া ৪৬৮ রানের লক্ষ্যটা আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব। তবে ইংলিশদের সাম্প্রতিক ব্যাটিং দুর্বলতা বিচারে ড্রটাকেও মনে হচ্ছে দূর যাত্রার পথ। ড্র করতে হলেও যে ইংলিশদের ব্যাট করতে হবে কমপক্ষে দেড় দিন!
৪৫ রানে ১ উইকেট হারিয়ে আগের দিনটা শেষ করেছিল অজিরা। ২৮২ রানের লিড জমে গিয়েছিল তাতে। তবে চতুর্থ দিন সকালেই দ্রুত তিনটি উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
শুরুতেই নাইটওয়াচম্যান মাইকেল নেসারকে ফিরিয়েছিলেন জেমস অ্যান্ডারসন। এরপর ব্রডের আঘাত অজি ইনিংসে। মার্কাস হ্যারিসকে ফেরান তিনি। অধিনায়ক স্মিথ স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে একবার ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন, পরেরবার এলবিডব্লিউ থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন ‘আম্পায়ার্স কল’ এর কারণে। তবে ব্রড দুবার বঞ্চিত হলেও ওলি রবিনসন হননি।
তবে এরপরই ইংলিশদের টুটি চেপে ধরেন দুই অজি ব্যাটার ট্র্যাভিস হেড আর মার্নাস লাবুশেন। হেড শুরু থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক, অন্যদিকে লাবুশেন কিছুটা রয়ে সয়েই খেলছিলেন। দুজন মিলে পঞ্চম উইকেটে যোগ করেন ৮৯ রান।
এরপর ৫৪ বলে ৫১ করে ফেরেন হেড। তার বিদায়ের কিছু পরেই ফেরেন লাবুশেনও। সেই ৫১ রান করেই। ১৭৩ রানে তাকে হারানোর পর থেকে অজিরা উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। শেষমেশ ২৩০ রানে হারিয়েছে নবম উইকেট। এরপরই অধিনায়ক স্মিথ ইনিংস ঘোষণা করে দেন। ইংলিশদের সামনে লক্ষ্যটা দাঁড়ায় ৪৬৮ রানের।
জবাব দিতে নেমে ইংলিশদের শুরুটাও যেমন হওয়া প্রয়োজন ছিল, তেমন হয়নি মোটেও। রানের খাতা খোলার আগেই ঝাই রিচার্ডসনের শিকার হয়ে ফেরেন হাসিব হামিদ। তাতে ইংলিশরা চতুর্থ দিনের চা বিরতিতে যায় ২০ রানে এক উইকেট হারিয়ে, বড় হারের শঙ্কাকে সঙ্গী করে।
এনইউ/এটি