স্বার্থের সংঘাতের উর্ধ্বে উঠছে অ্যাথলেটিকস

একাধারে ফেডারেশন কর্মকর্তা, কোচ আবার বিচারকের ভূমিকায়। বাংলাদেশের ক্রীড়াজগতে অনেক ডিসিপ্লিনেই এমন উদাহরণ ভুরি। একই ব্যক্তি একাধিক ভূমিকায় থাকায় স্বার্থের সংঘাতের সৃষ্টি হয়। এতে প্রতিযোগিতায় ও সাংগঠনিক কর্মকান্ডে বিতর্ক ও প্রশ্নের জন্ম হয়। বিশেষ করে জাতীয় অ্যাথলেটিকসে অনেক সময় প্রথম-দ্বিতীয় নিয়ে জাজদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন এবার সেই সেই বিতর্কের উর্ধ্বে ওঠার চেষ্টা করছে।
অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাহী কমিটির কেউ জাতীয় দলের প্রশিক্ষক হতে পারবেন না। এর পাশাপাশি কোন দল বা সংস্থার কোনো প্রশিক্ষক অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের আয়োজিত প্রতিযোগিতায় জাজ বা বিচারকের ভূমিকায় থাকতে পারবেন না। এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘অ্যাথলেটিকসকে আরো নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ করার জন্য এই সিদ্ধান্ত। সভাপতি ও কার্যনির্বাহী কমিটির সম্মতিতেই এই সিদ্ধান্ত।’
কমিটিতে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত আগে হলেও বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে এক দিন আগে। ব্যক্তিগত কাজে সাধারণ সম্পাদক যুক্তরাষ্ট্র আছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকেই তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়েছেন।
এত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দেশের বাইরে থেকে কেন জানানো হচ্ছে প্রশ্ন অ্যাথলেটিকস অঙ্গনের অনেকের। এই প্রসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক জানালেন, সিদ্ধান্তটা সবার।
একজন কোচ যখন জাজ হন তখন তার খেলোয়াড়ের দিকে একটু দুর্বল হয়ে ঝুকে পড়তেই পারেন। যেটা অন্য খেলোয়াড়দের জাজে সমস্যা হতে পারে। এটি নির্বাহী কমিটিরই সিদ্ধান্ত। সভাপতি মহোদয়ের অনুমতিক্রমেই এটি অ্যাথলেটিকস অঙ্গনের সকলের উদ্দেশ্যে জানানো হচ্ছে।’
আব্দুর রাকিব, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন
অ্যাথলেটিকস ছাড়াও হ্যান্ডবল, কাবাডি, কারাতে সহ অনেক খেলায় কোচ,কর্মকর্তা, রেফারির দায়িত্বে থাকেন একই ব্যক্তি। অ্যাথলেটিকস সংশ্লিষ্ট অনেকেই ফেডারেশনের কমিটির সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কতটুকু কার্যকর ও কতদিন বজায় রাখতে পারে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন এর উত্তর সময় বলবে। অন্য ফেডারেশনগুলো অ্যাথলেটিকসের অনুসরণ করে কিনা সেটাও দেখার বিষয় !
এজেড/এনইউ