‘বসুন্ধরার কেউ তো আর বাঁশি বাজাবে না’

ঘরোয়া ক্রীড়াঙ্গনের স্বার্থের সংঘাত পরতে পরতে। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা ফুটবলও এর বাইরে নয়। ফুটবলে সাম্প্রতিক সময়ে স্বার্থের দ্বন্দ্বের বিষয়টি বেশি উঠে জাতীয় দলে ক্লাবের ম্যানেজারের দায়িত্ব নিয়ে। ফেডারেশন কাপ শুরুর আগে উঠে এসেছে অন্য একটি বিষয়ে।
২৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া ফেডারেশন কাপের টাইটেল স্পন্সর বসুন্ধরা গ্রুপ। তাদের মাধ্যমে সরাসরি পরিচালিত হয় বসুন্ধরা কিংস। যারা ঘরোয়া ফুটবলে শিরোপার অন্যতম দাবিদার। এমন একটি শীর্ষ ক্লাবের গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় টুর্নামেন্ট তাই স্বার্থের সংঘাতের বিষয়টি উঠে আসছে।
এই প্রসঙ্গে পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘পৃষ্ঠপোষক এবং খেলা দুটো আলাদা জিনিস। পৃষ্ঠপোষকতা হলো আমাদেরকে তারা আর্থিকভাবে সহযোগিতা করবে। টিম যে খেলে তার জন্য কিন্তু আলাদা নিয়ম নেই পৃষ্ঠপোষকতা করেছে বলে। আমাদের যে রেফারিজ, ম্যানেজম্যান্ট টিম রয়েছে তারাই তো খেলাবে।’
দেশের অন্যতম শীর্ষ খেলা ফুটবল। ফেডারেশন কাপ আকর্ষণীয় একটি টুর্নামেন্টেও। সেই টুর্নামেন্টে স্বার্থের সংঘাত এড়াতে বাফুফের কতটুকু আন্তরিক প্রচেষ্টা ছিল? এর উত্তরে লিগ কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘যেটা বলেছেন সেটাও কিছুটা সঠিক। আমরা অন্য জায়গায় করিনি তা কিন্ত না। যেহেতু আমরা তাদের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। স্বাধীনতা কাপ সেই চুক্তির বাইরে ছিল। স্বাধীনতা কাপ রিভেরা ও বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে স্পন্সর হয়েছিল।’
বাফুফের এই শীর্ষ কর্তার দাবি, ‘কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্টটা হয়তো ওভাবে আসবে না। একজন যদি কেউ টাকা দেয়, সেটার প্রচার নেবে স্বাভাবিক। আর খেলা হবে তো মাঠে। সেই খেলা পরিচালনা করবে তো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, তার যে কমিটি আছে; রেফারি আছে। বসুন্ধরার কেউ তো আর বাঁশি বাজাবে না পৃষ্ঠপোষকতা করছে বলে।’
ক্লাব দলের ব্যবসায়িক গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় বাফুফে আয়োজিত টুর্নামেন্ট, লিগ নতুন কিছু নয়। কয়েক বছর আগে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ব্যবসায়িক গ্রুপ সাইফ পাওয়ারটেক বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের স্বত্ত্ব কিনেছিল। তখনও এই স্বার্থের সংঘাত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বছর পাঁচেক পর আবার সেই পুরনো স্বার্থের সংঘাতের বৃত্তেই ঘরোয়া ফুটবল।
এজেড/এমএইচ