সেঞ্চুরিয়ন যেন উইকেটপ্রপাত, চালকের আসনে ভারত

দিনে খেলা হলো ৭৯.২ ওভার। উইকেট পড়ল ১৮টি। গড়ে প্রতি ২৭ বলে একটি করে উইকেট। সেঞ্চুরিয়ন যেন আজ উইকেটপ্রপাতেই রূপ নিয়েছিল রীতিমতো। দক্ষিণ আফ্রিকান বোলাররা তাতে ছড়ি ঘোরালেন প্রথমে। ভারত নিজেদের শেষ ৪৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় ৩২৭ রানে। এরপর পুরো আলোটা কেড়ে নিলেন মোহাম্মদ শামি, দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভারত রুখে দিল ১৯৭ রানে। তাতেই তৃতীয় দিন শেষে ভারত চলে এসেছে চালকের আসনে।
দিনের শুরুতে কাগিসো রাবাদা আর লুঙ্গি এনগিদির জোড়া আক্রমণের মুখে পড়ে ভারত। প্রথম দিনের সেঞ্চুরিয়ান লোকেশ রাহুল ফেরেন দিনের শুরুতেই। ভারতীয় ইনিংসে মড়কের সে-ই শুরু। এরপর নিজেদের শেষ ৪৯ রানে সাত উইকেট খুইয়ে বসে বিরাট কোহলির দল। ইনিংস শেষ করে ৩২৭ রানে।
প্রতিপক্ষের মাটিতে খেলা বলেই হয়তো, ভারতের কাজটা সহজ ছিল না আদৌ। তার ওপর ইনিংসের শুরুর দিকেই যখন গোড়ালির চোট ছিটকে দেয় যশপ্রীত বুমরাহকে, তখন তো কাজটা কঠিন হয়ে যায় আরও। বুমরাহর অনুপস্থিতিতে দায়িত্বটা যেন শামি একাই তুলে নেন নিজের কাঁধে, তাতেই কঠিন কাজটা সহজ হয়ে যায় ভারতের। শামি ৫ উইকেট নিয়ে ছুঁলেন ২০০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলক। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকাকেও ১৯৭ রানে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। প্রথম ইনিংসে ভারত পেয়ে যায় ১৩০ রানের লিড।
চোট নিয়ে ছিটকে যাওয়ার আগে প্রোটিয়া ইনিংসে শুরুর আঘাতটা হেনেছিলেন বুমরাহ। প্রথম ওভারেই ফেরান ডিন এলগারকে। এরপরই শুরু শামির তোপের। ওপেনার মার্করাম, তিনে নামা পিটারসন ও চারে নামা ভ্যান ডার ডুসেনকে ফেরান অল্প রানেই। মাত্র ৩২ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বিপদেই পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
পরিস্থিতিটা স্বাগতিকদের জন্য আরও খারাপও হতে পারতো। প্রথম বলেই স্লিপে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি কক। তবে রাহুল সেটা তালুবন্দি করতে পারেননি। এরপরই উইকেটে জমে যায় টেম্বা বাভুমা ও ডি ককের জুটি। তবে তা স্থায়ী হলো ক্ষণিকের জন্য। ৩৪ রানের মাথায় ডি কককে আউট করেন শার্দুল ঠাকুর। ৫২ করে শামির শিকার হন বাভুমা। শেষ দিকে ইয়ানসেন, রাবাদারা কিছু রান করেন। তবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ছিলই দলটির। তাই শেষ পর্যন্ত দলীয় ইনিংসটা ১৯৭ রানের বেশি হয়নি তাদের। ১৩০ রানের লিড পায় ভারত।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতের রান ১ উইকেটে ১৬। ৪ রান করে আউট ময়াঙ্ক আগরওয়াল। তৃতীয় দিনের শেষে ভারত এগিয়ে ১৪৬ রানে।
এনইউ