ফেব্রুয়ারিতেই ভ্যাকসিন পাচ্ছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা

করোনায় বদলে গেছে গোটা পৃথিবীর চিত্র। তার আঁচ পড়েছে ক্রীড়াঙ্গনেও। ধ্বংসস্তূপ থেকে আবার একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে খেলার দুনিয়া। তাতে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে কোভিড ভ্যাকসিন। বিশ্বজুড়ে করোনার টিকা ছড়িয়ে পড়লেও এখনো টেস্ট ক্রিকেট খেলুড়ে কোন দল ভ্যাকসিন নেয়নি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আগেই ঘোষণা দিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে খেলোয়াড়দের। এবার একই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
কোভিড-১৯ মহামারি রূপ নেওয়ার পর একে একে বন্ধ হয়ে যায় বিশ্বজুড়ে চলা প্রায় প্রতিটি টুর্নামেন্ট। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবার মাঠে গড়াচ্ছে খেলা। তবে করোনার শঙ্কা মাথায় নিয়ে, ফুটবল থেকে ক্রিকেট হয়ে প্রতিটি প্রতিযোগিতামূলক খেলার আসর বসছে জৈব সুরক্ষা বলয় মেনে। নিউ নর্মালের এমন পরিবর্তনে হাঁপিয়ে উঠছেন খেলোয়াড়রা।
এ থেকে মুক্তি পেতে খেলোয়াড়দের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান সহ বেশ কয়েকটি ক্রিকেট খেলুড়ে দলের ক্রিকেট বোর্ড। সম্প্রতি পাকিস্তানি গণমাধ্যমকে পিসিবির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারিতেই ক্রিকেটারদের ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে চলমান সিরিজ শেষ হলেই ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে বাবর আজমদের।
এ প্রসঙ্গে ওয়াসিম খান জানান, ‘এখনো পর্যন্ত কোনো টেস্ট খেলেড়ু দেশ ক্রিকেটারদের ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে না নিলেও আমরা তা শুরু করেছি। আমি আশা করছি আগামী (ফেব্রুয়ারি) মাসেই খেলোয়াড়দের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শেষ করতে পারব।’
ওয়াসিম খানের এমন ঘোষণার আগেই অবশ্য বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় দলের পাশপাশি প্রথম শ্রেণি থেকে শুরু করে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের প্রায় ২০০০ ক্রিকেটারকে করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশ দল ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়ার আগেই তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
টিআইএস/এটি