রিয়াল মাদ্রিদে খেলতে আরামের জীবন ছেড়েছেন তিনি

বায়ার্ন মিউনিখে রীতিমতো সাজানো সংসারই ছিল তার। তবে রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাবে খেলাটা যে সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছুই। সেজন্যে ক্লাবে তার ‘সাজানো সংসার’, কিংবা মিউনিখ শহরের আরামের জীবন, সবকিছু ছেড়েছুড়ে চলে আসতেও বাধেনি অস্ট্রিয়ান ডিফেন্ডার ডেভিড আলাবার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, রিয়ালে খেলতেই এত ত্যাগ স্বীকার করেছেন তিনি।
দিনকয়েক আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। বর্তমানে আছেন আইসোলেশনে। সেখানে থেকেই সম্প্রতি অনলাইনে মুখোমুখি হয়েছিলেন অস্ট্রিয়ান সংবাদ মাধ্যম কুরিয়ারের। সেখানেই আলাবা জানিয়েছেন নিজের এই ত্যাগের কথা।
বললেন, ‘১৩ বছর থেকেছি সেখানে, বায়ার্ন মিউনিখ আমার দ্বিতীয় ঘরই ছিল। সেই ক্লাব ও দলে আমার গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা ছিল। মিউনিখ শহরটাকে হাতের উল্টোপিঠের মতো চিনতাম। সেই শহরে আমার অনেক বন্ধুও ছিল। রিয়াল মাদ্রিদে খেলতে গিয়ে অনেক আরামের একটা জীবন ছেড়ে আসতে হয়েছে আমাকে।’
গেল দলবদল মৌসুমের আগে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যায় তার। এরপরই সার্জিও রামোসের ফেলে যাওয়া ফাঁকা জায়গা পূরণে তাকে বিনামূল্যেই দলে টানে রিয়াল মাদ্রিদ।
তবে দীর্ঘ ১৩ বছরের ক্লাব ছেড়ে রিয়ালে এসে থিতু হতে সময় লাগছে। তার ওপর রিয়াল মাদ্রিদ তাদের কিংবদন্তিতুল্য ৪ নম্বর জার্সিটাও দিয়েছে তাকে। যে জার্সি পরে ক্লাবকে অজস্র গৌরবে ভাসিয়েছেন সার্জিও রামোস, ফের্নান্দো হিয়েরোর মতো কিংবদন্তিরা।
দল থেকে প্রত্যাশার চাপটা ইতোমধ্যেই বুঝে গেছেন সাবেক বায়ার্ন ডিফেন্ডার। বললেন, ‘আমি গর্বভরেই জার্সিটা পরি। এই জার্সির বিশেষ একটা ইতিহাস আছে। তবে এর মাধ্যমে এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে, দলের প্রত্যাশাটা আমার ওপর একটু বেশিই।’
মাঠে পারফর্ম করা তো বটেই, আলাবার সামনে আছে নতুন ড্রেসিং রুম, নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া, সঙ্গে নতুন ভাষা শেখারও চ্যালেঞ্জও। বললেন, ‘ড্রেসিং রুমের অনেকেই ইংরেজিতে কথা বলতে পারে না। সে কারণেই স্প্যানিশে কথা বলতে হয় আমাকে।’ তবে এরপরই স্প্যানিশ ভাষায় নিজের দখল নিয়ে রসিকতা করতেও ভুললেন না আলাবা। বললেন, ‘তবে স্প্যানিশ ভাষায় সাক্ষাৎকার দিতে পারলে সেটা হবে অন্যরকম কিছুই।’
এনইউ/এটি