বাবার জন্য কান্না ষোড়শী দ্রুততম মানবীর

কিছু দিন আগেও সুমাইয়া দেওয়ান ছিলেন অ্যাথলেটিক্সের উঠতি তারকা। আজ জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে দ্রুততম মানবী হয়ে রীতিমতো আলোচনায়। সদ্য এসএসসি পাশ করা বিকেএসপির এই কিশোরীই এখন বাংলাদেশের দ্রুততম মানবী।
জুনিয়র পর্যায়েও দ্রুততম মানবী ছিলেন তিনি, সঙ্গে রেকর্ডও ছিল সুমাইয়ার। এত দ্রুত সিনিয়র প্রতিযোগিতায় শিরিন আক্তারকে হারাতে পারবেন সেটা বিশ্বাসই হচ্ছে না সুমাইয়ার, ‘শিরিন আপুকে হারাতে পারব এটা আসলে ভাবিনি।’ তবে কিছুটা আত্মবিশ্বাস জন্ম হয়েছিল যখন হিটে প্রথম হয়েছিলেন, ‘সকালে হিটে আমি প্রথম হয়েছিলাম। তখন কিছুটা আশা হয়েছিল ফাইনালেও ভালো কিছু করতে পারি।’
শিরিনকে হারিয়ে এখন সুমাইয়ার চোখ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, ‘সাফে ভালো কিছু করে বাংলাদেশকে পদক এনে দিতে চাই।’ সুমাইয়া ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জুনিয়র ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন। সেই প্রতিযোগিতাগুলোতেও সম্মানজনক টাইমিং করেছেন।
সুমাইয়া বিকেএসপি থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। তিন দিন আগেই ফলাফল দিয়েছে। বি প্লাস নিয়ে পাশ করা সুমাইয়া তিন দিনের মধ্যেও খেলাতে সেরা হলেন। পড়াশোনা ও খেলার এই দুই কীর্তি দেখতে পেলেন না তার বাবা। তাই বিশেষ মুহূর্তে বাবার জন্য কাদলেন সুমাইয়া, ‘বাবা থাকলে খুশি হতেন অনেক। মার সাথে সকালে কথা হয়েছে হিটের পর। উৎসাহ দিয়েছিল আমি পারব।’ মানিকগঞ্জের এই অ্যাথলেটের পরিবার এখন মা ও তিন বোনের।
সুমাইয়ার বিকেএসপির কোচ মেহেদী বলেন, ‘সে অত্যন্ত মেধাবী। মেধার সঙ্গে পরিশ্রমও করে। এই দুটোর যোগফলে এই ফলাফল।’ বিকেএসপির আরেক কোচ আব্দুল্লাহ হেল কাফী বলেন, ‘এত কম বয়সে নারী দ্রুততম মানবী সাম্প্রতিক সময়ে আর কেউ হয়নি। সামনে সুমাইয়ার অপার ভবিষ্যত পড়ে রয়েছে।’ ফেডারশেনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু প্রশিক্ষণে রাখার অঙ্গীকার করলেন, ‘মেধাবী ও সম্ভাবনাময়ী অ্যাথলেটদের আমরা ট্রেনিংয়ে রাখব।’
ইলেকট্রনিক টাইমিং অনুযায়ী কয়েক বারের দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তার অবশ্য সুমাইয়ার চেয়ে খুব বেশি পিছিয়ে ছিলেন না। ০.০৬ টাইমিংয়ে তিনি দ্বিতীয় হয়েছেন। ১০০ মিটার নারী স্প্রিন্টে ফিনিশিং খুব হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। শিরিন ফিনিশিংয়ের সময় নিজের ভারসাম্য রাখতে পেরে পড়ে যান। খানিকটা ব্যাথাও পান।
এজেড/এনইউ