টোকিও অলিম্পিক হবে তো?

অলিম্পিকের সর্বশেষ আসর গেল বছর হওয়ার কথা থাকলেও সেটা করোনা মহামারির কারণে পিছিয়ে গেছে এক বছর। চলতি বছর জুলাই মাসে নতুন সূচিতেও এবার চোখ রাঙাচ্ছে কোভিড-১৯।
করোনার চোখরাঙানি এখনো কমেনি, বরং নতুন নতুন ধরণের করোনাভাইরাসের আবিষ্কার শঙ্কা বাড়াচ্ছে মহামারিকালে নতুন বিপদেরও। ক্রীড়াবিশ্বের অন্যতম বড় দুই আসর, অলিম্পিক আর ইউরো চলতি বছর অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়েও তাই জাগছে নতুন শঙ্কা।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি এখন পর্যন্ত এ বছর অলিম্পিক আয়োজনে বদ্ধপরিকর। তবে সুরক্ষার কথা বিবেচনায় দর্শকদের প্রবেশাধিকার দেয়ার কথা ভাবছে না অলিম্পিক।
ভ্যাকসিনের ধীরগতির সরবরাহের কারণে আবারও পিছিয়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে। কিন্তু অলিম্পিক প্রধান থমাস বাখ তেমন কিছুর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে আশাবাদ জানালেন সময়মতো আয়োজনের। বললেন, ‘মিসরে ৩২ দল নিয়ে হ্যান্ডবল বিশ্বকাপ হয়ে গেছে, ৩০০০ জনকে নিয়ে পুরো প্রক্রিয়াটা হয়েছে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে। আন্তর্জাতিক ফেডারেশনগুলো এখন পর্যন্ত ৭০০০ এরও বেশি আসর আয়োজন করেছে, আর ১৭৫০০০ করোনা টেস্টের মাত্র ০.০১৮ শতাংশের ফলাফলই কেবল পজেটিভ এসেছে। প্রতিযোগিতাগুলো যথারীতি হয়েছে, আর এদের একটাও হটস্পট হয়নি। আর এ কারণেই আমরা আশাবাদী। ’
দর্শকের প্রবেশাধিকার থাকবে? এমন প্রশ্নের জবাবে অলিম্পিক প্রধান বললেন, ‘আমি আপনাকে এর নিশ্চয়তা দিচ্ছি না। কারণ আমাদের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে নিরাপদ একটা অলিম্পিক আয়োজন। সেটা করতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করব আমরা।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘ভরা গ্যালারিতে খেলাটা সবাই পছন্দ করে কিন্তু। কিন্তু সেটা করতে না পারলে আমরা আমাদের লক্ষ্যকে প্রাধান্য দেবো, সুরক্ষাই আমাদের প্রধান চাওয়া।’
অলিম্পিক আয়োজনের জন্য বেশ কিছু প্রস্তাবনাও আছে আয়োজকদের। যেমন, খেলোয়াড়দের কোয়ারেন্টাইন। টোকিওর উদ্দেশ্যে উড়াল দেয়ার ৫ দিন আগে থেকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে খেলোয়াড়দের। তবে এ পরিকল্পনায় ভ্যাকসিনকে প্রাধাণ্য দিচ্ছে না অলিম্পিক।
বাখ জানিয়েছেন, ‘উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন মানুষরাই এখন ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাচ্ছেন। সেটা এখন খেলোয়াড়দের দিতে গেলে বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রাধান্যের তালিকা ভেঙে যাবে। আর তাই এখন খেলোয়াড়দের ভ্যাকসিনের ব্যাপারটা বাধ্যতামূলক করা হয়নি।’
এনইউ /এটি