টটেনহ্যামকে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে লিভারপুল

শেষ কিছুদিনে টটেনহ্যাম আর লিভারপুল শিরোপার পথে হাঁটছিল কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। সে ধারাটা ভাঙলো বৃহস্পতিবার রাতে। জোসে মরিনিয়োর টটেনহ্যামকে শেষ মূহুর্তের গোলে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে অল রেডরা, এগিয়ে গেছে পয়েন্ট টেবিলেও।
নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডে বৃহস্পতিবার রাতে শুরু থেকে আধিপত্য ছিলো লিভারপুলেরই। ২৮ মিনিটে তারই সুফল পায় দলটি। মোহামেদ সালাহর শট টটেনহ্যাম ডিফেন্ডার টোবি অল্ডারওয়েইরেল্ডের গায়ে লেগে দিক বদলে জড়ায় স্পার্সের জালে। গোল হজম করে জবাব দিতে মরিনিয়োর শিষ্যরা খুব বেশি একটা সময় নেয়নি। ৩৩ মিনিটে জিওভানি লো সেলসোর বাড়ানো বলে সন হিউং মিনের গোলে সমতা ফেরায় সফরকারীরা।
বলের দখল লিভারপুলেরই বেশি ছিলো। তবে দারুণ সব সুযোগ পেয়েছে টটেনহ্যাম। ৫২ মিনিটে হ্যারি কেইনের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়, এর মিনিট দশেক পর সনের কর্নারে অরক্ষিত অবস্থায় থেকেও লিভারপুল জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন তিনি। ৬৪ মিনিটে প্রতি-আক্রমণ থেকে স্টিফেন বের্গউইনের শট প্রতিহত হয় পোস্টে। ফলে আরও একবার গোলবঞ্চিত থাকতে হয় সফরকারীদের।
অ্যানফিল্ডে এসে গাদাগাদা সুযোগ খোয়ানোর মাসুল টটেনহ্যাম দেয় অন্তিম সময়ে। অ্যান্ড্রু রবার্টসনের কর্নার থেকে লিভারপুলকে জয় পাইয়ে দেন রবার্তো ফিরমিনো।
অজস্র সুযোগ হারিয়ে কপালে জুটলো পরাজয়, মরিনিয়োর আক্ষেপের অন্ত নেই তাই। তবে তিনি মনে করেন, জয়টা তার দলেরই প্রাপ্য ছিলো। বললেন, ‘আমি ক্লপকে বলছিলাম, সেরা দলটা হেরেছে আজ। সে সেটা মানতে নারাজ, যদিও সেটা তার মনে হয়েছে। আমরা আজ জয়ের খুব কাছে ছিলাম, কিন্তু আমরা সুযোগ নষ্ট করেছি, আমরা সুযোগ পেয়েছিলাম অনেক, খেলাটা নিয়ন্ত্রণে ছিলো। এ অবস্থা থেকে ড্রটাও খারাপ ফলই হতো, সেখানে হেরেই গেছি! আমাদের কেমন লাগছে তা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন!’
এদিকে কোচ ক্লপের কাছে এই জয়টা বিশেষ কিছুই। রীতিমতো ‘অবিশ্বাস্য’ আখ্যা দিয়ে বসলেন তিনি। জার্মান কোচের কথা, ‘প্রতি আক্রমণের ওস্তাদ একটা দলের বিপক্ষে, এতো বেশি সময় ধরে বলের দখল রেখেছি, ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য।’
তবে মরিনহো যেমন বলে গেলেন, খেলাটা তার দলেরই নিয়ন্ত্রণে ছিলো; ক্লপ সে কথা মানতে নারাজ। বললেন, ‘হ্যাঁ তারা গোল পেয়েছে, আরও দুটো সুযোগ ছিলো দলটির। কিন্তু সেটা এক পাশে রাখলে আমরাই ম্যাচে চালকের আসনে ছিলাম। যোগ্য দল হিসেবেই আমরা তিন পয়েন্ট অর্জন করেছি, আমি বেশ খুশি।’
এই জয়ের ফলে ১৩ ম্যাচ থেকে লিভারপুলের সংগ্রহ দাঁড়ালো ২৮ পয়েন্টে। সমান ম্যাচ থেকে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে টটেনহ্যাম আছে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। ২৪ পয়েন্ট নিয়ে সাউদাম্পটন ও এভারটন আছে পয়েন্ট তালিকায় যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে।
এনইউ