ইনিংস ব্যবধানেই হারল বাংলাদেশ

মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দুটোই দেখে ফেলল বাংলাদেশ। যাওয়ার আগে প্রত্যাশা অবশ্য তেমন ছিল না। কিন্তু প্রথম টেস্টে দুর্দান্ত খেলার পর, দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো কিছুর আশা করাটাও বাড়াবাড়ি ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশ হতাশই করল। তার মধ্যেও অবশ্য রঙিন হয়ে থাকলে লিটন দাসের দারুণ এক ইনিংস।
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে বাংলাদেশ হেরেছে ইনিংস ও ১১৭ রানে। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫২১ রান করে নিউজিল্যান্ড। দুই ইনিংস মিলিয়েও ওই রান করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ১২৬ আর পরের ইনিংসে ২৭৮ রান করে অলআউট হয় মুমিনুল হকের দল।
আগের দিন ফলো-অনে পড়া বাংলাদেশ তৃতীয় দিনের শুরুতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে। দুই ওপেনার সাদমান আর নাইম বেশ ধীরে সুস্থে খেলেন। তবে ধৈর্যের ফল ঘরে তুলতে পারেননি দুজনের কেউই। ৪৮ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফেরত যান ওপেনার সাদমান ইসলাম। আরেক ওপেনার নাঈম শেখ আরও কিছুক্ষণ ছিলেন। অফ স্টাম্পের বাইরের বলগুলো বেশ ভালোভাবে ছাড়ছিলেন তিনি। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। খোঁচা দিয়ে আউট হন সাউদির বলে। ৯৮ বলে ২৪ রান করে ফেরেন নাঈম।
এরপর শান্ত ও মুমিনুল আশা দেখিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৩৬ বলে ২৯ রান করে শান্ত আর ৬৩ বলে ৩৭ রান করে আউট হয়ে যন মুমিনুল। তবে আশার আলো হয়ে থাকেন লিটন দাস। দারুণ সব শট খেলেন তিনি। তাকে ভালো সঙ্গ দেন নুরুল হাসান সোহান।
এ দুজনের ১শ রানের পার্টনারশিপ হয়। এরপরই হুট করে কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যান সোহান। ৫৪ বলে ৩৬ রান করে ড্যারেল মিচেলের বলে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
লিটন অবশ্য থামেননি। নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করে নেন তিনি। ১৪ চার আর ১ ছক্কায় ১১৪ বলে ১০২ রান করে আউট হন তিনি। তার আউটের পর দ্রুত গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
শেষ দিকে কিউই অধিনায়ক মাঠের ক্রিকেটে শেষ বারের মতো বল তেুলে দেন রস টেইলরের হাতে। টাইগারদের শেষ উইকেট এবাদতকে আউট করে শেষবার হাত ঘোরানো স্মরণীয় করে রাখলেন টেইলর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড (প্রথম ইনিংস)- ৫২১/৬ (ডিক্লে.) (১২৮.৫ ওভার) (লাথাম ২৫২, কনওয়ে ১০৯, ব্ল্যান্ডেল ৫৭, ইয়ং ৫৪; এবাদত ২/১৪৩, শরিফুল ২/৭৯)
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস)- ১২৬/১০ (৪১.২ ওভার) (ইয়াসির ৫৫, সোহান ৪১; বোল্ট ৪/৪৩, সাউদি ৩/২৮, জেমিসন ২/৩২)
বাংলাদেশ (দ্বিতীয় ইনিংস) (ফলো অন)- ২৭৮/১০ (৭৯.৩ ওভার) (লিটন ১০২, মুমিনুল ৩৭, সোহান ৩৬; জেমিসন ৪/৮২, ওয়্যাগনার ৩/৭৭)
এমএইচ/এটি/জেএস