লম্বা সময়ের জন্য টিম ডিরেক্টরের দায়িত্ব চান সুজন

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর টালমাটাল বাংলাদেশ দলকে এক সুতোয় গাঁথতে খালেদ মাহমুদ সুজনকে টিম ডিরেক্টরের দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে সময়সীমা জানানো হয়নি। সুজনের টোটকায় নিউজিল্যান্ডে সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। প্রথমবারের মতো সেখানে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে খেলা কোনো ম্যাচ জিতেছে টাইগাররা। দেশে ফিরে সুজন জানালেন, এমন সাফল্য আরো এনে দেবেন যদি দীর্ঘসময়ের জন্য দায়িত্ব পান।
আজ (শনিবার) মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুজন বলছিলেন, ‘একটা সময় আমার ক্ষমতা ছিল টিম লিডার। এবার তো নির্দিষ্ট অনেক ক্ষমতা ছিল। এটা থাকলে কাজ করা সহজ হয়। কোচদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়, ট্রেনিং নিয়ে কথা বলা যায়। বিসিবি যদি মনে করে এটা ভালো, পাপন ভাই আমাকে সেভাবে বলেছিলেনও। সেটাই করার চেষ্টা করেছি।’
সঙ্গে যোগ করেন সুজন, ‘ক্ষমতা না থাকলে তো করা সম্ভব না। ক্ষমতা কমানো হলে থাকব না সেটা বলিনি। তবে কমানো হলে হয়ত আমার থেকে ইনপুট পাবে না। এত বছর আছি, ছেলেদের সাথে তো আমার সম্পর্ক ভালো। আমাদের একটা স্টাইল আছে, ছেলেদের বুঝি অনেক ভালো।’
সুজন দায়িত্ব নেওয়ায় দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর ক্ষমতা অনেকটাই কমে গেছে। কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে আগে সুজনের অনুমতির প্রয়োজন পড়ে। তবে সুজন কারো ক্ষমতা বা দায়িত্ব ছিনিয়ে নেননি, সবাইকে নিয়েই পথ চলতে চান তিনি।
সুজনের ভাষায়, ‘যখনই কাজ করি চেষ্টা করি সবার সাথে মিলে কাজ করতে। আমরা তো একটা দল। এবার আমার সক্রিয়তা ছিল অনেক বেশি যা আগে এমন ছিল না। আমি এবার চাইলে অনেক কিছুই করতে পারতাম। আমি চেয়েছি যার যার সম্মান তাকে দেওয়ার, যার যার কাজ তাকে করতে দেওয়ার। যেখানে প্রয়োজন পড়েছে সেখানে তো কথা বলতেই হবে। দিনশেষে দেশের ক্রিকেটের ভালোটাই চিন্তা করব। ওই জায়গা থেকে সমস্যা হয়নি। সবাই সবার স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করেছে।’
নিউজিল্যান্ডে দলকে কিভাবে উজ্জীবিত করেছেন দলকে সেটিও শোনালেন সুজন, ‘আমার কাজ দলকে সমন্বয় করা, খেলোয়াড়দের মোটিভেট করা, সাহস জোগানো, স্পিরিট আনা। সেটাই চেষ্টা করি। আমার নিজের একটা পন্থা আছে। একটা কথা সবসময় বলি- কেউ না পারলেও কাউকে না কাউকে তো পারতে হবে। কেন এই গ্রুপটা না?’
টিআইএস