সাকিব-মুশফিকের টিপসে আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন মিরাজ

সাফল্যের কৃতিত্ব একা নিতে রাজি নন মেহেদী হাসান মিরাজ। যখনই দলের হয়ে ভালো কিছু করেন, কৃতিত্বের ভাগ দেন সতীর্থদের। দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদে প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুলেন না তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান টেস্টে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের দেখা পেয়েছেন মিরাজ। এমন অর্জনে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমদের টিপসে আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টের শুরুর দিনে আগে ব্যাট করে উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। এজন্য ওপেনার সাদমান ইসলাম নিজেদের দায় দেখেছেন। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় একসময় মনে হচ্ছিল দলীয় পুঁজি ৩০০ ছাড়ানো দায়। সেখান থেকে উইকেটে এসে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন মিরাজ। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বাংলাদেশকে ৪৩০ রানের সংগ্রহ এনে দেন তিনি।
মিরাজ যখন উইকেটে আসেন, তখন ৬ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ২৪৮ রানে। উইকেটে সঙ্গী হিসেবে পান সাকিবকে। পরে সাকিবের পরামর্শে ব্যাট করতে থাকেন মিরাজ। তাতেই সাফল্য পেয়েছেন তিনি। সঙ্গে মুশফিক এবং তামিম ইকবালকেও অর্জনের ভাগ দিয়েছেন মিরাজ।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে এক ভিডিও বার্তায় মিরাজ বলেন, ‘আমি যখন উইকেটে যাই, তখন একটু স্নায়ুচাপে ছিলাম। সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে আমি কথা বলছিলাম যে, ভাই কী করলে ভালো হয়? সাকিব ভাই একটা কথা বলেছেন, নরমাল ক্রিকেট খেলতে এবং যদি আত্মবিশ্বাস থাকে, যে মারলে পার হয়ে যাবে বা যে শটই খেলি যেন আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলি।’
২১ বছর বয়সী মিরাজ আরও যোগ করেন, ‘যেমন মাঝখানে হয়তো আমি নিজের প্রেশার রিলিজ করতে একটা স্লগ সুইপ চেষ্টা করব, তখন সাকিব ভাই আমাকে বলেন যে, এখানে স্লগ সুইপের চেয়ে প্যাডল সুইপ করলে ভালো। তখন আমার মাথায় চিন্তাটা কাজে লেগেছে যে, আমি যদি স্লগ সুইপের বদলে প্যাডল সুইপ খেলি তাহলে হয়তো ভালো হবে, আউট হওয়ার সুযোগ কম থাকবে।’
বৃহস্পতিবার করা সেঞ্চুরির আগে বল হাতে পারফর্ম করলেও ব্যাটিংয়ে ততটা আলো ছড়াতে পারেননি মিরাজ। নেটে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করেছেন সিনিয়র দুই সতীর্থ মুশফিক, তামিমদের সঙ্গে। সেখান থেকে পাওয়া টোটকা উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সময় প্রয়োগ করেছেন মিরাজ।
সেই ভিডিও বার্তায় মিরাজ বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে নামার আগে মুশফিক ভাই হয়তো দুই-একটা কথা বলেছে যে, এ উইকেটে অনেক সুযোগ আছে, ভালো কিছু যেমন ৭০ রানে নটআউট থাকতে পারবি। এ জিনিসগুলো যখন ড্রেসিংরুমে সিনিয়র প্লেয়াররা ব্যাকআপ করে জুনিয়রকে, তখন কিন্তু আমাদের বুক অনেক বড় হয়ে যায় এবং ভালো করতে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করা যায়।’
তামিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মিরাজ বলেন, ‘আমি যখন সেদিন নেটে ব্যাটিং করছিলাম, তখন তামিম ভাই আমাকে ২-১টা পরামর্শ দিচ্ছিলেন। তামিম ভাই সেদিন আমাকে একটা পরামর্শ দিয়েছেন, জোরে বলগুলো কীভাবে খেলতে হবে, শরীরের দিকে আসা বলগুলো কীভাবে খেলতে হবে। তামিম ভাই শুধু একটা কথা বলেছেন যে, শরীরের দিকে আসা বলগুলো সোজা রাখার জন্য, এটা যেন না ঘুরিয়ে দেই। আজকে এটা প্রয়োগ করেছি।’
টিআইএস/এমএইচ