অবশেষে জাগছে ফেডারেশন সেক্রেটারি ফোরাম

ফেডারেশনগুলোর আন্তঃসমস্যা সমাধান ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এবং সরকারের কাছে নিজেদের দাবি দাওয়া তুলে ধরতেই জাতীয় ফেডারেশনগুলোর সাধারণ সম্পাদকদের সমন্বয়ে ফেডারেশন সেক্রেটারি ফোরামের সৃষ্টি। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়। দুই যুগের বেশি সময় এই সংগঠন থাকলেও কার্যকরী তেমন ভূমিকা রাখতে পারেনি।
প্রায় সময়ই এক ফেডারেশনের অন্য ফেডারেশনের সূচি, ভেন্যু নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। এতে অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয় ক্রীড়াঙ্গনে। সম্প্রতি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমনিশিয়ামে জিমন্যাস্টিক্সের মালামাল সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কুস্তি ফেডারেশনের ওপর। এখন তো ফুটবল ও আরচ্যারি ফেডারেশনের সমস্যা ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।
এই সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়েই আগামীকাল (সোমবার) ফেডারেশন সেক্রেটারি ফোরাম এক সভা ডেকেছে। এই সংগঠনের সভাপতি হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনূর। তিনি আগামীকালের সভা সম্পর্কে বলেন, ‘অনেক দিন হয় আমাদের এক সঙ্গে বসে আলোচনা হয় না। সাম্প্রতিক কিছু বিষয় রয়েছে এ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন ফেডারেশনের বর্তমান অবস্থা, সংকটগুলো জেনে পরবর্তী করণীয় ঠিক হবে।’
ফেডারেশন সেক্রেটারি ফোরাম যখন গঠিত হয় তখন দেশের দুই শীর্ষ ক্রীড়া সংস্থা ফুটবল ও ক্রিকেটে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিল। এখন কালের বিবর্তনে পেশাদারিত্বের ছোঁয়ায় এই দুই ক্রীড়া ফেডারেশনের নিয়োগকৃত সাধারণ সম্পাদক। ক্রিকেট বোর্ডের সিইও ও ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নিয়োগকৃত হলেও তারাও পদাধিকার বলে এর সদস্য বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি আসাদুজ্জামান কোহিনূর।
এই সংগঠনের জন্মলগ্ন থেকে আছেন আসাদুজ্জামান কোহিনূর। শুরুতে ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক, এরপর সম্পাদক এখন সভাপতি। গুরুত্বপূর্ণ এই সংগঠন ক্রীড়াঙ্গনে কার্যকরী কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। এই প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, ‘আসলে এই বিষয়ে আমাদের উদ্যোগ ও পরিকল্পনার ঘাটতি ছিল। আশা করি সামনের দিনগুলোতে আমরা কিছু ভূমিকা রাখতে পারব।’
ফেডারেশন সেক্রেটারি ফোরামের ২-৩ বছর পর প্রতিষ্ঠা হয়েছে জেলা ও বিভাগীয় সংগঠক পরিষদ। যা ক্রীড়াঙ্গনে ফোরাম নামে পরিচিত। সেই পরিষদ এখন ক্রীড়াঙ্গনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করছে। অন্যদিকে ফেডারেশন সেক্রেটারি ফোরাম সংগঠনটি দিনে দিনে নিষ্ক্রিয়তায় রুপ নিচ্ছে। কয়েক বছর আগে এই সংগঠনের ব্যানারে একটি ইফতার মাহফিল হয়েছিল। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে এই সংগঠনের অধীনে তেমন কোনো কর্মকাণ্ড চোখে পড়েনি।
এজেড/এমএইচ/এটি