স্পিন উইকেটেও পেসারের দিকে তাকিয়ে উইন্ডিজ

কাজটা কঠিন হয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য। এরই মধ্যে ৭ উইকেট হাতে রেখে ২১৮ রানের লিড জমা করেছে বাংলাদেশ দল। তবে লিডকে আর বেশি বড় করতে দিতে চায় না উইন্ডিজ। এজন্য স্পিন সহায়ক উইকেটেও ম্যাচের চতুর্থ দিনের শুরুতে পেসার শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের দিকে তাকিয়ে ক্যারিবীয়রা।
ম্যাচের শুরুর দিনে টস জিতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ। বুধবার সকালে পেসের সাথে নিখুঁত লাইন-লেংথ আর বাউন্সারে টাইগার ব্যাটসম্যানদের নাকাল করেন উইন্ডিজের দুই পেসার গ্যাব্রিয়েল ও কেমার রোচ। তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসেও আলো ছড়ান গ্যাব্রিয়েল। শেষ বিকেলে গ্যাব্রিয়েলের হালকা লাফিয়ে ওঠা বলে খেই হারান সাদমান। উইকেটের পেছনে জশুয়া ডি সিলভাকে ক্যাচ দিতে বাধ্য হন তিনি।
চতুর্থ দিনে সেই গ্যাব্রিয়েলেই আস্থা রাখেন দলটির ব্যাটসম্যান জার্মেইন ব্ল্যাকউড। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘শ্যানন (গ্যাব্রিয়েল) নিজেকে উজাড় করে বল করেছে। খুবই ভাল পরিকল্পনায় সে আক্রমণাত্মক বোলিংয়ের পাশাপাশি গতিও এনেছিল। ব্যাটসম্যানকে তার বল খেলতে বাধ্য করেছে। তাতে পুরষ্কারও পেয়েছে। আশা করি কালও সে একই পরিকল্পনায় সফল হবে। কাল আমাদের সেশন বাই সেশন পরিকল্পনা করে এগোতে হবে।’
প্রথম ইনিংসে ২৫৯ রানে অলআউট হয় ক্যারিবীয়রা। তাতে বড় অবদান ব্ল্যাকউড ও ডি সিলভার। ষষ্ঠ উইকেটে ৯৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে টেনে তুলেন দুজন। যেখানে অর্ধশতক হাঁকানো ব্ল্যাকউডের সংগ্রহ ৬৮ রান। নিজের ইনিংসটিকে তিন অংকে না নিতে পারায় নিজের প্রতি হতাশ তিনি।
ব্ল্যাকউড জানান, ‘হাফসেঞ্চুরির পর আউট হওয়াটা খুবই হতাশাজনক। আমি চেয়েছিলাম আজকের ইনিংসটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে। আমি সঠিক দিকেই যাচ্ছিলাম। কিন্তু যেভাবে আউট হলাম, তাতে সত্যি আমি খুব হতাশ হয়েছি। জশকে (জশুয়া) বলছিলাম ইতিবাচক খেলতে। বলের প্রতি মনযোগ দিতে। বড় কিছুর চিন্তা না করে আমরা প্রতিটা বলের মেরিট অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি। ওরা যখন ভালো বল করছিল, আমাদের পরিকল্পনা ছিল একদম উইকেটে পড়ে থাকা। আমার মনে হয় সব মিলিয়ে আমরা ভাল পরিকল্পনা করেই ভালো জুটি গড়েছি।’
টিআইএস/এমএইচ