মন্ত্রী ‘জবরদখল’ বলতেই ভেন্যুর খোঁজে বাফুফে

চলমান ফুটবল লিগে মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরে আলোচনা বেশি। লিগের ভেন্যু নিয়ে পরিস্থিতি অনেক ঘোলাটে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল গতকাল আরচ্যারি ভেন্যু বাফুফের ব্যবহারের ধরন ও প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্যের পর কিছুটা সজাগ হয়েছে বাফুফে। আজ সকালে বাফুফের শীর্ষ ব্যক্তিদের মধ্যে লিগের ভেন্যু সংক্রান্ত বিষয় কথা হয়েছে। আগামী শুক্রবার বিকেলে পেশাদার লিগ কমিটির সভাও ডাকা হয়েছে। সেই সভার মূল বিষয় চলমান লিগের ভেন্যুসংক্রান্ত। আজ বিকেলে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ ভেন্যু বিষয়ে বলেন, ‘আমরা ক্লাবগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করেছি। বিভিন্ন ভেন্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় যে সিদ্ধান্ত হবে সেটা সবাই জানবেন।’
বাফুফের ভেন্যুর তালিকায় ছিল আর্মি স্টেডিয়াম। সেই স্টেডিয়াম অন্য কোনো সূচি না থাকলেও মাঠ বরাদ্দ পেতে রয়েছে নানা আনুষ্ঠানিকতা। আর্মি স্টেডিয়ামের ব্যাপারে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আর্মি স্টেডিয়ামে অনুমতিপত্র পেতে কিছু কাগজপত্র দিতে হয়। আমরা সেটা গতকাল দিয়েছি।’
বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা ভেন্যু প্রস্তুত। কোনো ক্লাবের হোম ভেন্যু থাকবে না এবং বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের ভেন্যুতে দুই দলের বেশি খেলতে দিবে না এই দুই জটিলতায় শেষ পর্যন্ত এই ভেন্যু বাতিল হয়।
টঙ্গীর শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে আরচ্যারির সাথে ভেন্যু নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় আবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে সাধারণ সম্পাদক বলেন,‘ আমরা এখন কোনো সুনির্দিষ্ট মাঠ নিয়ে মন্তব্য করব না। সভা পর্যন্ত অপেক্ষা করব। সভায় আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত হবে’।
২০ ফেব্রুয়ারির পর আরচ্যারির পক্ষে ফুটবলকে সপ্তাহে এক দিনের বেশি মাঠ দেয়া সম্ভব হবে না। আরচ্যারি ফেডারেশনের এই অবস্থান এবং ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বাফুফে এখন অন্য ভেন্যু খুজছে।
এজেড/এমএইচ/এটি