বিপিএল ফাইনালের টিকিট যেন সোনার হরিণ

গলায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের কার্ড ঝোলানো দেখতেই এগিয়ে এলেন এক তরুণ। একটি টিকিটের জন্য কাকুতি-মিনতি করলেন অনেকক্ষণ। তাকে বোঝানো দায় হয়ে দাঁড়াল যে, টিকিট দেওয়ার সক্ষমতা সংবাদ সংগ্রহ করতে আসা প্রতিনিধিদের একেবারেই নেই। তবুও নাছোড়বান্দা সুবজ নামের সেই সমর্থক। অনেক পথ মাড়িয়ে কুমিল্লা থেকে মিরপুরে এসেছেন প্রিয় দলের খেলা দেখতে। গ্যালারিতে বসে বিপিএল ফাইনাল দেখবেন।
সবুজ শেষ পর্যন্ত টিকিটের ব্যবস্থা করতে পেরেছেন কিনা সেটি অবশ্য আর জানা হয়নি। তবে সবুজের মতো অনেকেই টিকিটের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরেছেন শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের বাইরে। তবু টিকিট নামের এই সোনার হরিণের ব্যবস্থা করতে পারেননি, দাম শুনেই বাধ্য হয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছেন স্টেডিয়াম গেটের সামনে।
স্টেডিয়ামের ৩ নম্বর গেটের সামনে প্রায় আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে জানা গেল, কালোবাজারিতে টিকিট মিললেও সেটি চাহিদার তুলনায় একেবারেই নগন্য। এজন্য টিকিট প্রত্যাশীরাই হন্যে হয়ে খুজে বের করছেন কালোবাজারিদের। কিছু টিকিট পাওয়া গেলেও তার দাম আকাশচুম্বী। ১৫০ টাকার টিকিট চাওয়া হচ্ছে ৭০০ টাকা। ২০০ টাকা মূল্যের টিকিট ৮০০ টাকা, ৫০০ টাকার টিকিট ১২০০ টাকা, ৭০০ টাকার টিকিট ১৫০০ টাকা। তবে কিনতে গেলে সেটিও পাওয়া যাওয়া যাচ্ছে না চাহিদামতো।
এদিক বিবেচনায় নিজেকে অবশ্য ভাগ্যবানই ভাবছেন মহাখালি থেকে আসা মাসুদ নামের এক সমর্থক। দুপুর ২টায় স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছেন টিকিটের আশায়। ২ ঘণ্টার চেষ্টায় একটি টিকিটের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। ৭০০ টাকার টিকিট কিনেছেন ১৩০০ টাকায়। এনিয়ে বেশ খুশিই দেখা গেল তাকে। যদিও ৫০ টাকা ফেরত চেয়েছিলেন, রাতে বাসায় ফেরার টাকা নেই জানিয়ে। তবে মাসুদের সে কথায় মন গলেনি কালোবাজারির।
টিকিট অবশ্য চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। সাকুল্য ৪ হাজার টিকিট ছেড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে সেটি বাইরে বিক্রয়ের অনুমতি নেই। এই টিকিট শুধুমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি, বিপিএল স্পন্সর, কর্মকর্তা আর স্টেকহোল্ডারদের জন্যই রেখেছে বিসিবি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, সব ফ্র্যাঞ্চাইজি টিকিট নেয়নি বোর্ড থেকে। বাইরে যে টিকিট কিনতে পাওয়া যাচ্ছে, তাতে জড়িত আছে বোর্ডের নিয়োজিত নিরাপত্তাকর্মীরা।
টিআইএস/এনইউ