দক্ষিণ আফ্রিকা সফর ঘিরেই টাইগার্সের প্রথম কর্মসূচি

বহুল কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ টাইগার্স কর্মসূচি আলোর মুখ দেখছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই কার্যক্রম গতি পেয়েছে আজ (শনিবার) প্রথম ধাপের স্কোয়ার্ড ঘোষণার মধ্য দিয়ে। ২৩ সদস্যের এই দল নিয়ে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত ক্যাম্প চলবে। এবারের এই অনুশীলন পর্ব মূলত আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরকে ঘিরে সাজানো হচ্ছে। এজন্য তুলনামূলক গতিশীল আর বাউন্সি উইকেটের ভাবনায় অনুশীলন হবে বগুড়ায়।
আজ শনিবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশ টাইগার্সের চেয়ারম্যান কাজী ইনাম বলছিলেন, ‘এবারের এই প্রোগ্রামের মূল একটা মনোযোগের জায়গা হচ্ছে সামনের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। আমাদের যে অ্যানালিস্ট নাসু ভাই তিনি এরই মধ্যে এটা নিয়ে কাজ শুরু করেছেন, তিনিও এই প্রোগ্রামে থাকছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ওই কন্ডিশনে কেমন বোলিংয়ের মুখোমুখি হতে এই সব নিয়ে।’
বগুড়ায় ক্যাম্প আয়োজনের কারণ জানিয়ে ইনাম বলেন, ‘এই ভেন্যুর কথা বলেছেন মূলত টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। তিনি সুজন (খালেদ মাহমুদ) ভাইকে বলেছিলেন, এখানকার উইকেট অনেক ফাস্ট। এর সঙ্গে আমরা নিজেদের পুরনো একটা আন্তর্জাতিক ভেন্যুকে ব্যবহার করতে পারছি। সেই কারণে আমরা স্থান হিসেবে বগুড়াকে বেছে নিয়েছি। এটা কেবল শুরু, আশা এ কর্মসূচি ভালোভাবে চলবে।’
২৩ সদস্যকে নিয়ে ক্যাম্প হবে বগুড়ার শহীদ চান্দু ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এবার প্রোগ্রাম চলবে ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত। মূলত আসন্ন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ব্যস্ততার কথা ভেবেই ১১ দিনে শেষ করা হবে প্রথম ধাপের কর্মসূচি।
ইনামের ব্যাখ্যা, ‘আমাদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শুরু হচ্ছে মার্চের ১৫ তারিখ। এপ্রিল মাসে এই টুর্নামেন্ট যখন শেষ হয়ে যাবে এরপর মে মাস থেকে, যেটা আমাদের অফ সিজন সেই সময়ে লম্বা সময়ের জন্য আবার বাংলাদেশ টাইগার্সের প্রোগ্রাম শুরু হবে। মে মাসে যে ক্যাম্প করা হবে, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শেষে সেটার জন্য একটি দল দেওয়া হবে।’
এবার বাংলাদেশ টাইগার্স স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছেন ২৩ ক্রিকেটার। যারা ১১ দিনের একটি ক্যাম্প করবেন। দ্বিতীয় ধাপের ক্যাম্পে তারা নাও থাকতে পারেন। জাতীয় দলের খেলোয়াড়, ড্রপ আউট হওয়াদের মধ্যে যাদেরকে সে সময় পাওয়া যাবে, তাদের নিয়ে সাজানো হবে নতুন দল।
বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘ঘুরে ফিরে জাতীয় দলের সব খেলোয়াড়রা এখানে থাকবে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আমরা খেলব সাদা বলে, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। সামনে আমরা যখন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট খেলব তখন হয়ত ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের খেলোয়াড়রা এখানে থাকবে। জাতীয় দলের খেলোয়াড়, ড্রপ আউট এবং সম্ভাবনাময়। যারা এইচপিতে নেই, অনূর্ধ্ব-১৯ দলে নেই।’
টিআইএস/এটি