ঋদ্ধিমানের প্রতি সম্মান রেখেই কথা বলেছি : দ্রাবিড়

ভারতের টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা। এরপর তিনি জানিয়েছেন, রাহুল দ্রাবিড় তাকে অবসর নিতে বলেছিলেন। অথচ এর আগে নাকি বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি বলেছিলেন, তিনি যতদিন দায়িত্বে থাকবেন ততদিন থাকবেন ঋদ্ধিমানও।
এরপর থেকে ভারতীয় ক্রিকেট উত্তপ্ত এই ইস্যুতে। এবার এ নিয়ে মুখ খুলেছেন রাহুল দ্রাবিড়। তার কথাও বেশ স্পষ্ট, ঋদ্ধিমানের অবদানকে সম্মান জানান তিনি। তবে ভবিষ্যতের জন্য একজন তরুণ উইকেটরক্ষককে গড়ে তুলতে চান, জানিয়েছেন সেটিও।
তিনি বলেছেন, ‘আমি একেবারেই কষ্ট পাইনি। ঋদ্ধিমান সাহার জন্য অনেক সম্মান আছে, তার অর্জন ও ভারতের ক্রিকেটে অবদানের প্রতিও। তার সঙ্গে হওয়া আমার কথাবার্তাও সম্মানের জায়গা থেকেই ছিল। সে সততা ও পরিচ্ছন্নতা প্রাপ্য। আমি চাইনি এটা সে মিডিয়া থেকে শুনুক।’
ঋদ্ধিমানের কথায় কষ্ট পাননি জানিয়ে দ্রাবিড় বলেছেন, ‘এই ধরনের কথা খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমার নিয়মিত হয়। আমি একদমই কষ্ট পাইনি কারণ আমি এমন প্রত্যাশা করি না যে খেলোয়াড়দের সবসময় সব বার্তা পছন্দ হবে অথবা তারা সব মেনে নেবে আমি যা বলবো। এটা এভাবে কাজ করে না।’
এরপর নিজেদের ভাবনা পরিষ্কার করেন দ্রাবিড়, ‘যখন আপনার কঠোর কথাবার্তা হবে লোকজনের সঙ্গে। আপনাকে সেটা বলতে হবে। সে সবসময় আপনার সঙ্গে একমত হতে পারবে না। কিন্তু এটার মানে এমন না আপনি কথাগুলো কার্পেটের নিচে লুকিয়ে রাখবেন। আর কথাই বলবেন না।’
‘প্রতি ম্যাচের আগে যখন একাদশ সাজাই, এমনকি এখনও। আমি অথবা রোহিত বাদ পড়াদের সঙ্গে কথা বলি। কেন বাদ পড়ল এমন প্রশ্নের উত্তর দিতেও তৈরি আছি। কেন ওই একাদশটা খেলছে, এর উত্তর দিতেও।’
ঋদ্ধিমানকে বাদ দেওয়ার কারণ জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের এই বছর মাত্র তিনটা টেস্ট (পাঁচটা) আছে। ঋষভ ইতোমধ্যেই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমরা এখন তরুণ একজনকে বেড়ে উঠার সময় দিতে চাই। এটাই আসলে। কিন্তু এর মানে এই না যে ঋদ্ধির অবদানের প্রতি আমাদের সম্মান কমে গেছে।’
এমএইচ