সিডন্সের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে বড় প্রভাব রাখতে পারে

জেমি সিডন্স কি গতরাতে ঘুমাতে পেরেছেন? করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ১০ দিন ঘর বন্দি ছিলেন। এর মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যস্ততা। মিশন আফগানিস্তান সিরিজ। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে আজ (মঙ্গলবার) দলের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। তার আগে যেন ব্যস্ততার অন্ত নেই সিডন্সের।
মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৭টা। সাধারণ যাত্রীরা বোর্ডিং পাস হাতে নিয়েও ভেতরে যেতে পারছেন না। ততক্ষণে বিমানবন্দরে হাজির সিডন্স। ভিআইপি দরজা দিয়ে হন্তদন্ত হয়ে প্রবেশ করলেন। তার উড়ালের সময় সকাল ৭.৪৫টায়। সিডন্স যেন পারলে তার আগেই উড়াল দেন চট্টগ্রামে। সকাল ১০টায় যে তার দলের অনুশীলন শুরু।
গত সোমবার এক ক্ষুদে বার্তায় সিডন্স জানান, দলের সঙ্গে যোগ দিতে তর সইছে না তার। পুরোনো ছাত্রদের সঙ্গে নতুন অনেক মুখ যোগ হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে। সাকিব আল হাসান, তামিম ইমবালদের সঙ্গে সিডন্সের সরাসরি সাক্ষাতে ক্ষনিকের জন্য বাধ সাধে করোনাভাইরাস। সেই অদৃশ্য শক্তিকে জয় করে ফিরেছেন সিডন্স। আজ চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে নেমেই সোজা স্টেডিয়ামের পথ ধরেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং পরামর্শকের দায়িত্ব পাওয়া এই অস্ট্রেলিয়ান।
প্রথম দিনের অনুশীলনে সাকিব-তামিমদের সঙ্গে গল্পে মজেছেন অনেকক্ষণ। গল্পের মাঝেই বুঝিয়ে দিয়েছেন সাকিব, শান্তদের ব্যাটিংয়ের কৌশল। কখনো আবার ব্যাটিং পরামর্শক থেকে বোলিং পরামর্শকে ভূমিকায়ও দেখা গেল সিডন্সকে। সিডন্সকে কাছে পেয়ে তার প্রিয় ছাত্র বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের তামিম ইকবাল জানালেন, সিডন্সের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের ক্রিকেটে বড় প্রভাব রাখতে পারে।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, ‘সিডন্স বাংলাদেশে অনেক বড় প্রভাব রাখতে পারে। তার যে অভিজ্ঞতা আছে বা তার সাথে কাজ করার যে অভিজ্ঞতা আমাদের আছে, আমরা সিরিজের মধ্যে আছি তাই এই সময়টা ওর জন্য একটু কঠিন। কমবেশি যতটুক পারছে চেষ্টা করছে। তবে আমি নিশ্চিত তরুণরা ওর কাছ থেকে অনেক উপকৃত হবে।’
যোগ করেন তামিম, ‘আমি একটা কথা বলি- একটা কোচ ১০টা অপশন দেবে, আপনার বুঝতে হবে কোন ২-৩টি আপনার কাজে লাগবে। সবকিছু শুনলে কাজ নাও হতে পারে। নিজের দায়িত্বে বুঝতে হবে কোনটা কাজে লাগবে, আপনি সিনিয়র জুনিয়র যেই হন।’
সিডন্স বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে যোগ দিলেও অনেকেই মনে করছেন টাইগারদের এই সাবেক হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর পদ নিতে পারেন। এসব কানাঘুষা উড়িয়ে দিলেন তামিম।
তামিম বলেন, ‘রাসেল ও জেমিসহ আমরা একটা দল। রাসেল হেড কোচ হয়ে সেই দলের অংশ। জেমি ব্যাটিং কোচ হয়ে এই দলের অংশ। আমার মনে হয় না এটা আমরা আলাদাভাবে চিন্তা করছি বা দেখার দরকার আছে। যারা এই সেটআপে আছে, তারা মিলেই বাংলাদেশ দল। ম্যানেজমেন্ট বলুন, খেলোয়াড় বলুন, আমরা সবাই এক। এভাবেই আমরা এগোতে চেষ্টা করব। দূরত্ব থাকলে ভালো কিছু হবে না। খেলোয়াড়-স্টাফ আমরা সবাই জানি আমরা একটি দল। ভালো খেলি খারাপ খেলি, একসাথেই থাকব আমরা।’
টিআইএস/এটি