ঠাঁসা সূচিতে দুশ্চিন্তায় বাংলাদেশ, হবে আলাদা দল

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এর আগে অনেকবারই বলেছেন, তিন ফরম্যাটের জন্য আলাদা দল তৈরির ভাবনার কথা। তবে সিরিজ শুরু হলে দেখা যায়, ঘুরেফিরে যারা নিয়মিত, তাদেরকেই রাখা হচ্ছে তিন সংস্করণের স্কোয়াডে। তবে সম্প্রতি সেই সংস্কৃতির কিছুটা পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এবার অনেকটা বাধ্য হয়েই আলাদা দল করতে হবে টাইগারদের। এমনটাই মনে করছেন পাপন।
ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে গত ২৬ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় আইসিসির সর্বশেষ সভা। সেখান থেকে আজ রোববার (৩১ জুলাই) বিকেলে দেশে ফিরে সংবাদমাধ্যমকে পাপন বলেন, ‘আইসিসির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত অনেক ছিল। একটা ছিল, খেলা ডিস্ট্রিবিউশন। এফটিপি যা আছে, অফিসিয়ালি ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত আমরা বলছি না। এক সপ্তাহের ভেতরে দিয়ে দেওয়ার কথা। এফটিপি যেভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে, যে পরিমাণে খেলা আছে আমার মনে হয় এখন আমাদের দুশ্চিন্তার বিষয়, খেলব কীভাবে? এতো ম্যাচ খেলা আসলেই কঠিন।’
আরও পড়ুন >> যে কারণে বাংলাদেশের ম্যাচ বাড়াল আইসিসি
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আগামী ২০২৩ সাল থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) চূড়ান্ত করেছে। এই পাঁচ বছরে উইন্ডিজ ছাড়া বাকি সবার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ দল।
আগামী পাঁচ বছরের এমন ঠাঁসা সূচিতে বিপাকে বাংলাদেশ। এজন্য আলাদা দল তৈরির ভাবনার কথা জানালেন পাপন, ‘এখন আমাদের আলাদা দল করা ছাড়া কোনোভাবেই সম্ভব না। কয়েকটা খেলোয়াড়ের ওপর চাপ এত বেশি পড়বে, যেটা আসলে ওদেরকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। বদলিয়ে বদলিয়ে খেলতে হবে। এছাড়া কোনো উপায় নেই।’
আরও পড়ুন >> ব্যস্ত সূচির চাপ কৌশলে সামলাবে বাংলাদেশ
২০২৩ থেকে ২০২৭ ক্রিকেটীয় ক্যালেন্ডারে বাংলাদেশ দল ৩৪ টেস্ট, ৫৯ ওয়ানডে এবং ৫১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। সব সংস্করণ মিলিয়ে বাংলাদেশের ম্যাচ ১৪৪টি। এ সময়ে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দলগুলোর বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। অতীতে বাংলাদেশ কখনোই এতো ম্যাচ পায়নি।
টিআইএস/এইচএমএ