ক্রিকেটার হওয়ার পেছনে সুজন স্যারের অনেক অবদান: হৃদয়

Dhaka Post Desk

ক্রীড়া প্রতিবেদক

১৮ মার্চ ২০২৩, ১০:৪৫ পিএম


ক্রিকেটার হওয়ার পেছনে সুজন স্যারের অনেক অবদান: হৃদয়

ছবি: সংগৃহীত

স্বপ্ন দেখলে এবং তার যত্ন নিলে, সেটা একদিন না একদিন ঠিকই বাস্তবে রূপ নেয়। আজ তৌহিদ হৃদয়ের সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দেয়ার দিন। এমন দিনে নিজের সামর্থ্যের সবটুকুই করে দেখালেন এই ব্যাটার। সিলটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচেই বাজিমাত করেছেন। 

এদিন ব্যাট হাতে তিন অঙ্কের রান ছোঁয়ার সুযোগ আসলেও সেটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন জাতীয় দলের তরুণ এই ক্রিকেটার। ৯২ রানে থাকা অবস্থায় ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। অবশ্য বাংলাদেশ দল জিতেছে ১৮৩ রানের বড় ব্যবধানে। তবে ব্যক্তিগত ৯২ রান করেই ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন হৃদয়। এরপর সংবাদ সম্মেলনে এসে তরুণ এই ক্রিকেটার জানালেন তার জীবনে খালেদ মাহমুদ সুজনের অবদানের কথা। 

হৃদয় বলেন, 'যখন একাডেমিতে গিয়েছিলাম, অনেককিছু আসলে ক্ষতি করেই গিয়েছিলাম ওখানে। তারপর একটা সময় ক্রিকেট খেলার কোনো ইচ্ছে ছিল না। পরিবার থেকে ওভাবে কোন সাপোর্ট ছিল না, বাবার সাপোর্ট ছিল, যদিও বাবা খেলা বুঝে না। আমি যখন জেদ ধরতাম মায়ের সঙ্গে, যতটুকু পেরেছে আর কী চেষ্টা করেছে। একটা সময় আমার খেলার ইচ্ছে ছিল না। সেসময় সুজন স্যার (খালেদ মাহমুদ) আসলে সেই ছোট বেলাতেই, যখন আমি অনূর্ধ্ব-১৬ খেলি, সুজন স্যার ওখান থেকে নিয়ে এসেছে এবং উনি সুযোগ করে দিয়েছে। ওখান থেকে ফাস্ট ডিভিশন খেলে আস্তে আস্তে উঠে আসা।'

 বর্তামানে তো জাতীয় দলে খেলছেন এখন পরিবার থেকে সাপোর্ট পাচ্ছেন, হৃদয়ের উত্তর, 'অবশ্যই প্রতিটা বাবা-মায়ের প্রতিক্রিয়াই ভালো হওয়ার কথা (জাতীয় দলে আসার খবরে)। আমার বাবা-মাও খুশি হয়েছে। আমার মা বিশেষ করে একটু বেশি খুশি হয়েছে। উনি তো ছোটবেলা থেকেই আমাকে অন্যভাবে দেখেছে। পরিবার থেকে পড়াশোনার জন্য সবসময় চাপ দিতো, পড়াশোনার দিকে বেশি ফোকাস ছিলাম না। যতটুকু পেরেছি বেশির ভাগ সময় মাঠেই থাকতাম। আলহামদুলিল্লাহ, বাবা-মা খুশি হয়েছে, আশেপাশের আত্মীয়-স্বজনরাও খুশি।’

এসএইচ/এইচজেএস

Link copied