যে লক্ষ্যে ‘ক্যান্সার ফাউন্ডেশন’ করলেন সাকিব

Dhaka Post Desk

ক্রীড়া প্রতিবেদক

২৪ মার্চ ২০২৩, ০৮:৪৯ পিএম


যে লক্ষ্যে ‘ক্যান্সার ফাউন্ডেশন’ করলেন সাকিব

ছবি: সংগৃহীত

দেশবাসীকে নিজের জন্মদিনে এক বড় উপহারই দিলেন সাকিব আল হাসান। শুক্রবার রাজধানীর এক হোটেলে নিজের নামে ক্যান্সার ফাউন্ডেশন উদ্বোধন করেছেন সাকিব। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এছাড়া তার কোচ এবং সতীর্থরাও এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

নিজের বক্তব্যে সাকিব বলেন, 'রোজার শুরু, জুম্মার দিন, আজ আর আমার জন্মদিন। এক দিনে সবই মিলে গেছে তাই দিনটি আমার জন্য আলাদা। আলাদা আরও একটি কারণে, আমাদের এই নতুন উদ্যোগের কারণে। আমি অনেক সময় অনেক কিছুর সঙ্গে জড়িয়েছি। চেষ্টা করেছি মানুষের পাশে থাকার। এবার প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কিছু করতে চাই। এই ক্যানসার ফাউন্ডেশন করার পেছনে সত্যিকার অর্থে সেটিই কারণ।’

নতুন আরেকটি ডায়াগনসিস সেন্টার করতে চাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে সাকিব বলেন, ‘একটা ডায়াগনসিস সেন্টার করতে চাই। তারও আগে চাই মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে। আমার কাছে মনে হয় এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে পারি, অনেক আর্লি স্টেজে যদি এটা ধরা পড়ে কিংবা শুরুতেই ডায়াগনসিস করা যায়, তাহলে আমার মনে হয় এখন অনেক ভালো চিকিৎসা আছে। যার মাধ্যমে মানুষ অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারবে। 

আরও পড়ুন : সাকিবের ‘ক্যান্সার ফাউন্ডেশনকে’ ওষুধ দিয়ে সহযোগিতা করবেন পাপন

ক্যান্সার রোগের সচেতনতার কথা জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘ক্যানসারকে সবাই মরণব্যাধি বলে। তবে এর ভয়ে পিছিয়ে থাকলে তো চলবে না। আমাদেরকে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে, মানুষকে সাহস দিতে হবে, দেখাতে হবে আশা। আমরা সবাই মিলে সেই কাজটি করতে চাই। যত ক্ষুদ্র পর্যায়ে থেকেই হোক না কেন। সাকিব আল হাসান ক্যানসার ফাউন্ডেশন এইসব মানুষের জন্য কাজ করতে চায়, যাদের সামর্থ্য নেই ক্যানসার মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসাকে এগিয়ে নেওয়ার, যাদের সামর্থ্য নেই ক্যানসার ডায়াগনসিস করার। ’ 

সাকিব যোগ করেন, ‘আমরা যদি একজন, একশ জন বা এক হাজার জন মানুষকেও সাহায্য করতে পারি, সেটিই আমাদের জন্য বড় অর্জন হবে আমি মনে করি। আমাদের স্বপ্নটা বড়, একটা ক্যানসার হাসপাতাল করার। যেখানে পরিপূর্ণ আধুনিক চিকিৎসার সকল সুবিধা থাকবে। তবে একদমই কম খরচে। মানুষ যেন হাসপাতালে এসে হাসি মুখে বাড়ি ফিরবে। গর্ব করে বলবে, বাংলাদেশেও এমন একটি হাসপাতাল আছে। যা কিনা ছড়িয়ে পড়বে দেশ ছেড়ে বিশ্বের বিভিন্ন পর্যায়ে। স্বপ্নটা বিশাল। হয়তো এখনই সম্ভব নয়। তবে একদিন নিশ্চিত হবে ইনশাআল্লাহ্‌।'

এসএইচ/এইচজেএস 

Link copied