শেষ বলে লড়েও হারল মোহামেডান

ছবি: সংগৃহীত
আবাহনী-মোহামেডান দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের লড়াই, বলা যায় নিজেদের মর্যাদার লড়াইও। আর সেই লড়াইয়ে মোহামেডানের বিপক্ষে সুপার লিগের ম্যাচে ৯ রানের জয় তুলে নিয়েছে আবাহনী।
মিরপুর শেরে-ই বাংলার মাঠে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আবাহনী সংগ্রহ করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রান।জবাবে ২৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ইমরুল কায়েসের মোহামেডান থেমেছে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রানে।
মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস এবং সৌম্য সরকার ফিরে যান। রান করতে পারেননি বিদেশি ক্রিকেটার কামিন্দু মেন্ডিসও। ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে মোহামেডান। পরবর্তীতে দলের হাল ধরেন আরিফুল ইসলাম এবং মাহেদুল ইসলাম অঙ্কন।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে এই দুই ব্যাটার মিলে গড়েন অর্ধ-শত রানের জুটি। তবে দলীয় ৮৫ রানে থাকা অবস্থায় ফিরে যান আরিফুল। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে লড়তে থাকেন অঙ্কন। এরপর অঙ্কন তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। দারুণ খেলতে থাকা রিয়াদও এরপর তুলে নেন অর্ধ-শতক। তবে দলীয় ১৭২ রানের মাথায় এসে সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে ফেরেন অঙ্কন। ১১৩ বলে ৮৮ রান করেন এই ব্যাটার।
অঙ্কনকে হারালেও রিয়াদ থাকেন ক্রিজে। তবে ব্যক্তিগত ৫৪ রানে থাকা অবস্থায় আউট হন রিয়াদ। রিয়াদকে হারিয়েই দিশেহারা হয়ে পড়ে মোহামেডান। এরপর মোহামেডানের দলীয় ২২১ রানে জোড়া আঘাত হেনে আবাহনীর জয় খানিকটা সহজ করে তুলেন মোসাদ্দেক।
এরপর শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২০ রানের প্রয়োজন হলে আবারও বোলিংয়ে আসেন মোসাদ্দেক। প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলে ২ নেন মুশফিক। এরপর লেগ বিফরের ফাঁদে পড়ে ফিরে যান এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। সর্বশেষ ৩ বলে ১২ রান প্রয়োজন হলে ক্রিজে নেমে নাজমুল হোসেন অপু সিঙ্গেল নিয়ে শুভাগতকে স্ট্রাইক দেন। হোম অবশ্য পঞ্চম বলে একের বেশি নিতে পারেননি। শেষ বলে অপু এক রান নিয়ে আবাহনীর জয় নিশ্চিত করেন। মোসাদ্দেক ৫১ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট।
এর আগে দিনের শুরুতে মিরপুর শেরে-ই বাংলার মাঠে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আবাহনী সংগ্রহ করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রান। তবে দলের হয়ে এদিন দুই ওপেনার ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি। পরবর্তীতে মোসাদ্দেক হোসেনের ৬৩ এবং জাকের আলী অনিকের ৬৩ রানে ভর করে মোহামেডানকে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি ছুঁড়ে দেয় আবাহনী।
এসএইচ/এইচজেএস