‘মেয়েকে আট মাস স্কুলে পাঠাতে পারিনি’

Dhaka Post Desk

স্পোর্টস ডেস্ক

২৭ আগস্ট ২০২৩, ১০:০০ পিএম


‘মেয়েকে আট মাস স্কুলে পাঠাতে পারিনি’

পাকিস্তানের ক্রিকেটে আক্রমণাত্মক এক ক্রিকেটার হিসেবেই আবির্ভাব হয়েছিল উমর আকমলের। বড় ভাই কামরান আকমলের পর উমরও হয়ে উঠেছিলেন পাকিস্তানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মিডল অর্ডারে তার হার্ডহিটিং ব্যাটিং দলের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল বহুবারই। তবে পাকিস্তান ক্রিকেটের আরও অনেকের মতোই বিতর্কিত ক্যারিয়ার পার করেছেন উমর। 

দুর্নীতি বিরোধী ধারা ভঙ্গের অপরাধে ২০২০ সালে ৩ বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়ে পড়েন উমর। এরপরেই পড়তে হয় আর্থিক দুরবস্থার মাঝে। নিজের সেই দুঃসময়ের কথা স্মরণ করে তার চোখে জমেছে অশ্রু। অকপটেই বলেছেন, ‘আমার শত্রুরও যেন এমন দিন দেখতে না হয়।’ 

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের নিষিদ্ধ থাকার দিনগুলোর কথা মনে করে চোখের পানি ফেলেছিলেন সাবেক এই ব্যাটার, ‘আমি যা দেখেছি, তা কারো, এমনকি আমার শত্রুরও দেখা উচিৎ না। আল্লাহ কাউকে কোনকিছু দিয়ে বা কেড়ে নিয়ে পরীক্ষা করে থাকেন। যাইহোক, যখন আমি কঠিন সময় পার করছিলাম, তখন অনেকেই নিজের আসল পরিচয় প্রকাশ করে আমার কাছ থেকে দূরে সরে যায়। তবে যারা আমার পাশে ছিলেন, তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’  

নিজের আর্থিক দুরবস্থার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, মেয়েকে সামান্য বার্গার কিনে দেওয়ার টাকাও ছিল না সেই দিনগুলোতে, ‘মেয়েকে আমি ৮ মাস স্কুলে পাঠাতে পারিনি। আর আমার স্ত্রী আমাকে সেই কঠিন দিনগুলোতে ছেড়ে যায়নি। আমার স্ত্রী সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মানো মেয়ে। তবে সে বলেছিল, পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক, সে আমার পাশেই থাকবে। আমি এজন্য তার কাছে কৃতজ্ঞ।’ 

আরও পড়ুন: যে পথে হেঁটে ওয়ানডের শীর্ষ দল পাকিস্তান

৩৩ বছর বয়েসী এই ক্রিকেটার সবশেষ পাকিস্তানের জার্সিতে খেলেছেন ২০১৯ সালে। তবে তিনি আশা করেন, নিজের পরিশ্রমের মাধ্যমে আরও একবার দলে জায়গা করে নিতে পারবেন। 

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে উমর আকমলের বিরুদ্ধে দূর্নীতিবিরোধী ধারা লঙ্ঘনের প্রমাণ পায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সেসময় তাকে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরে অবশ্য আপিলের মাধ্যমে নিজের শাস্তি কমিয়েছিলেন উমর। 

জেএ 

Link copied