তাসকিন-মিরাজে দ্বিতীয় সেশনেও স্বস্তি বাংলাদেশের
দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে রীতিমতো কোণঠাসা করে রাখেন তাসকিন আহমেদ। ডানহাতি এই পেসারের হাত ধরে প্রথম সেশনটি নিজেদের দখলে রাখে বাংলাদেশ দল। মধ্যাহ্নভোজের বিরতি থেকে ফিরে প্রতিরোধ গড়ে লঙ্কানরা। তবে এবারও তাদের সামনে বাধার দেওয়াল হয়ে দাঁড়ান তাসকিন, সঙ্গে যোগ দেন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দ্বিতীয় সেশনে ২ উইকেট হারিয়ে ৯১ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। সব মিলিয়ে ৬ উইকেট হারানো লঙ্কানদের সংগ্রহ ৪২৫ রান। নিরোশান ডিকওয়েলা ৩১ ও রমেশ মেন্ডিস ১২ রানে অপরাজিত থেকে দিনের তৃতীয় ও শেষ সেশনের খেলা শুরু করবেন।
২৯১ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করা শ্রীলঙ্কা হারিয়েছিল মাত্র ১ উইকেট। দ্বিতীয় দিনের সকালের সেশনে খেলা হয় ২৬ ওভার। বাংলাদেশি বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে মোটে ৪৩ রান যোগ করে স্বাগতিকরা। হারায় ৩ উইকেট। যেখানে গতি আর আগ্রাসনের সঙ্গে ধারাবাহিক লাইন-লেংথে বল করে সেঞ্চুরিয়ান লাহেরু থিরিমান্নের উইকেট তুলে নেন তাসকিন।
থিরিমান্নেকে ১৪০ রানে ফেরানোর পর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুউসকেও সাজঘরের পথ দেখান এই পেসার। প্রথম সেশনেই উইকেট থেকে শার্প টান পেয়েছেন তাইজুল। ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে আউট করেন ২ রানের মাথায়। পরে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৩৪ রান দিয়ে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
বিরতি থেকে ফিরে আবারও বাংলাদেশি বোলারদের শাসন করতে থাকেন অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান ওশাদা ফার্নান্দো ও পাথুম নিশাঙ্কা। দেখেশুনে খেলে পঞ্চম উইকেট পার্টনারশিপে ৫২ রান যোগ করেন দুজন। এই জুটি যখন সফরকারী শিবিরে আতঙ্ক তৈরি করে, তখন বল হাতে আবার ত্রাতা হয়ে আসেন তাসকিন।
ইনিংসের ১৩৬তম ওভারের চতুর্থ বলে নিশাঙ্কাকে রীতিমত বোকা বানান তাসকিন। খাটো লেংথের বলের লাইন পড়তে পারেননি নিশাঙ্কা, সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৩০ রান করে। অর্ধশতক হাকানো ফার্নান্দো শতকের দিকে ছুটেছিলেন, তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি তার। পরের ওভারেই মিরাজের বলে ৮১ রান করে আউট হন তিনি। মিরাজকে সুইপ করতে গেলে বল শুরুতে তার হাতে লেগে পরে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে লিটনের গ্লাভসে জমা হয়।
পরে অবশ্য দলকে আর কোনো বিপদে পড়তে দেননি অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান নিরোশান ডিকওয়েলা ও রমেশ মেন্ডিস। ৬ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা ৪২৫ রান নিয়ে চা-পানের বিরতি শেষে আবার তৃতীয় সেশনের খেলা শুরু করবে।
টিআইএস