লাবুশেনের অতিমানবীয় ক্যাচে থামল ইংল্যান্ড, রুটের অপরাজিত ১৩৮

ব্রিসবেনে যেন সুপারম্যান নেমে আসলেন! ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ারে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাতে অবিশ্বাস্য ক্যাচ তালুবন্দি করলেন মারনাস লাবুশেন! আর তাতে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ইংল্যান্ড ইনিংসের সমাপ্তি ঘটল। দশম উইকেট জুটিতে জোফ্রা আর্চারকে সঙ্গে নিয়ে লড়াইটা চালাচ্ছিলেন জো রুট।
আগের দিন দুজনে ৪৪ বলে ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন। তাতেই একটা রেকর্ড হয়ে গিয়েছিল। দিবা-রাত্রির টেস্টে দশম উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। আজ দ্বিতীয় দিনে আর মাত্র ১০ রান যোগ করার পরই ভেঙে গেল সেই জুটি। দশম উইকেটে দুজনের জুটিতে ৫৮ বলে ৭০ রান এসেছে। সফরকারী ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস থামল ৩৩৪ রানে।
শেষ পর্যন্ত ১৩৮ রানে অপরাজিত থাকলেন জো রুট। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬ উইকেট শিকার করে রেকর্ডবুকে নাম লিখিয়েছেন মিচেল স্টার্ক।

এর আগে গতকাল ব্রিজবেনে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারের শেষ বলেই উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। স্টার্কের বলে গোল্ডেন ডাক মারেন ইংলিশ ওপেনার বেন ডাকেট। ডাকেটের বিদায়ে ক্রিজে আসেন ওলি পোপ। রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনিও। স্টার্কের দ্বিতীয় শিকার হন পোপ।
৫ রানে ২ উইকেট পতনের পর তৃতীয় উইকেটে ১৫২ বলে ১১৭ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও রুট। ১১টি চারে ৭৬ রান করা ক্রলিকে থামিয়ে জুটি ভাঙেন পেসার মাইকেল নেসার। দলীয় ১২২ রানে ক্রলি ফেরার পর ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডার ব্যাটাররা সুবিধা করতে পারেনি। হ্যারি ব্রুক ৩১, অধিনায়ক বেন স্টোকস ১৯, জেমি স্মিথ শূন্য ও উইল জ্যাকস ১৯ রানে আউট হন। এরমধ্যে ব্রুককে শিকার করে টেস্টে বাঁ-হাতি পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হন স্টার্ক। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরামের ৪১৪ উইকেটের রেকর্ড ভাঙেন তিনি।
৬৫তম ওভারে জ্যাকস ফেরার পরের ওভারেই টেস্টে ৪০তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রুট। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথমবারের মত সেঞ্চুরির স্বাদ নিলেন তিনি। এজন্য ৩০ ইনিংস অপেক্ষা করতে হয়েছে তাকে। ৬৭তম ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে প্রথম দিনই অলআউটের মুখে ফেলেন স্টার্ক।
দশম উইকেটে জোফ্রা আর্চারকে নিয়ে রুটের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলের রান তিনশো পার করে দিন শেষ করেছিল ইংল্যান্ড। যদিও দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ভেঙে গেল সেই জুটি।
এফআই