বিপিএল খেলতে আসছেন মঈন আলি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসন্ন আসর শুরু হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। ৬ দলের অংশগ্রহণে দ্বাদশ আসরটি অনুষ্ঠিত হবে। নতুন মালিকানা ও নামে এবারের বিপিএলে অংশ নেবে সিলেট টাইটান্স। অন্য দলগুলোর মতো নিলামে তারাও পছন্দসই দল সাজিয়েছে। তবে এর বাইরেও শক্তি বাড়ানোর সুযোগ আছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর। সেটিকে কাজে লাগিয়ে এবার ইংলিশ তারকা মঈন আলিকে দলে ভেড়াল সিলেট।
নিলামের পর একে একে বেশ কয়েকজন বিদেশি ক্রিকেটারকে স্কোয়াডে যুক্ত করেছে তারা। সেই তালিকায় সর্বশেষ নাম মঈন আলি। এর আগে সাবেক এই তারকা অলরাউন্ডার বিপিএলে দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে চার আসরে খেলেছেন। ২০২৪ পর্যন্ত সর্বশেষ তিন আসরে মঈন খেলেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে। এর মধ্যে দু’বার শিরোপাও জিতেছেন। প্রথমবার সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজিতে দেখা যাবে মঈন আলিকে।
তার আগে ইংল্যান্ডের আনক্যাপড খেলোয়াড় ইথান ব্রুকসকে দলে নেয় সিলেট। সম্প্রতি আলো কেড়েছেন ভাইটালিটি ব্লাস্টে ১৪ ম্যাচ খেলে। বিশেষ করে ব্যাটিং দিয়ে। এই ‘নবীন’ খেলোয়াড়কে এবার বিপিএলেও দেখা যাবে। সিলেট টাইটান্সে নাম লেখানো ব্রুকস সর্বশেষ ভাইটালিটি ব্লাস্টে দুর্দান্ত খেলেছেন। ২৪ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান ক্রিকেটারের অন্তর্ভুক্তি বাড়াবে সিলেটের শক্তি। ইংলিশ টি-টোয়েন্টি সার্কিটে নিজের ব্যাটিং ও বোলিং দক্ষতার জন্য পরিচিত ইথান ব্রুকস।
সিলেট টাইটান্সের মিডল অর্ডারে ব্যাটিং গভীরতা, পাওয়ার-হিটিং সক্ষমতা এবং বোলিং ভারসাম্যের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যোগ করতে পারেন। ২০২৫ সালের ভাইটালিটি ব্লাস্টে প্রায় ১৬৭ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন ব্রুকস। ৫৭ বাউন্ডারিতে টুর্নামেন্টে করেছেন মোট ৩৮০ রান। অর্ধশতক হাঁকান তিনটি। সবমিলিয়ে ২৮ টি-টোয়েন্টি খেলে ১৮ উইকেট নিয়েছেন এই ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার। ব্যাটিংয়ে তিন ফিফটিতে ৬৯৫ রান, বাউন্ডারি মেরেছেন ৯৯টি।
একনজরে সিলেট টাইটান্সের স্কোয়াড :
পারভেজ হোসেন ইমন (৩৫ লাখ), খালেদ আহমেদ (৪৭ লাখ), আফিফ হোসেন (২২ লাখ), এবাদত হোসেন (২২ লাখ), রনি তালুকদার (২২ লাখ), জাকির হাসান (২২ লাখ), রুয়েল মিয়া (২২ লাখ), আরিফুল ইসলাম (২৬ লাখ), শহিদুল ইসলাম (১৪ লাখ), রাহাতুল ফেরদৌস জাভেদ (১৪ লাখ), তৌফিক খান তুষার (১৪ লাখ), মুমিনুল হক (২২ লাখ), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (৩৫ হাজার ডলার), অ্যারন জোন্স (২০ হাজার ডলার), ইথান ব্রুকস, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, মোহাম্মদ আমির ও সাইম আইয়ুব, মঈন আলি।
এসএইচ/এএইচএস