হাসান মাহমুদের অপেক্ষা বাড়ছেই

Dhaka Post Desk

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ অক্টোবর ২০২১, ০৩:০৯ পিএম


হাসান মাহমুদের অপেক্ষা বাড়ছেই

দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাসিট জয়েন্ট ইনজুরিতে ভুগছেন পেসার হাসান মাহমুদ। এই চোটের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে তো বটেই, খেলতে পারছেন না ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলোতেও। স্ক্যান বা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়ছে না কিছুই। তবে বল করতে গেলে ব্যথা অনুভব করছেন হাসান। এজন্য আলাদা কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার তার। মূলত বায়ো মেকানিক্যাল অ্যাসেসমেন্টের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবেন তিনি। তবে তার যাওয়া আটকে আছে ভিসা জটিলতায়।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসক মনজুর হোসেন চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বললেন, ‘হাসান মাহমুদের যাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে ভিসার উপর। আমরা ভিসার জন্য এপ্লাই করেছি। যত তাড়াতাড়ি পাওয়া যাবে ততো তাড়াতাড়ি সে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবে।’

২০২০ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ খেলতে নেমে বাজিমাত করেন হাসান। ঢাকা প্লাটুনের জার্সিতে ডানহাতি পেস বোলার নিজের জাত চিনিয়ে ১৩ ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেও গতিময় বোলিংয়ের সঙ্গে নিখুঁত লাইন-লেংথে আলো কাড়েন তিনি। এরপর ডাক পান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে। অমিত সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হলেও চোটের কারণে সুবিধা করতে পারছেন না।

হাসানের ইনজুরির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে মনজুর হোসেন বলেন, ‘হাসান মাহমুদ দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবেন চিকিৎসার জন্য। বায়ো মেকানিক্যাল অ্যাসেসমেন্টের জন্য যাবেন। যখন তার বোলিংয়ের ডেলিভারি শেষ হয়, তখনই মূলত ব্যাথাটা বাড়ে। এটা কী বোলিং অ্যাকশনের জন্য হচ্ছে কিনা এটাই দেখার জন্য যাবে।’

সঙ্গে যোগ করেন মনজুর হোসেন, ‘আমরা যতবারই তার শরীরে স্ক্যান করেছি, এমআরআই- কোনতেই সমস্যা ধরা পড়ছে না। এজন্য এটা কী তার বোলিং অ্যাকশনের জন্য হচ্ছে নাকি ফুট ল্যান্ডিং বা বোলিং রিলিজের জন্য এগুলো দেখতেই দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠানো হচ্ছে।’

হাসানের দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার অপেক্ষা বাড়লেও আগামী ৫ নভেম্বর দুবাই যাবেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য বিশ্বজিত দাস অরন্য। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের মতো পিঠের চোটে ভুগছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।

মনজুর হোসেন বললেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য বিশ্বজিত দাস। ওকে আমরা দুবাই পাঠাচ্ছি। ওর পিঠে একটা ফ্র্যাকচার আছে। সেটা ঠিক করার জন্য অপারেশন প্রয়োজন। এজন্যই তাকে পাঠানো হচ্ছে। আগামী ৫ নভেম্বর দুবাই যাবে অভিষেক দাস।’

টিআইএস

Link copied