ইউসুফের রেকর্ড ভেঙেও ইংল্যান্ডকে লজ্জা থেকে বাঁচাতে পারবেন রুট?

Dhaka Post Desk

স্পোর্টস ডেস্ক

২৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭:০০ পিএম


ইউসুফের রেকর্ড ভেঙেও ইংল্যান্ডকে লজ্জা থেকে বাঁচাতে পারবেন রুট?

এক ইনিংস, ১১০ রান। জো রুটের সামনে বছরের শেষ ইনিংসে সমীকরণটা ছিল এমনই। তাহলেই মোহাম্মদ ইউসুফের ১৫ বছরের পুরোনো রেকর্ডটা যেত ভেঙে। তবে ইংলিশ অধিনায়কের সামনে এই রেকর্ডের চেয়ে বড় হাতছানিটা একটা লজ্জার। চলতি পঞ্জিকাবর্ষে ৮ টেস্ট হেরেছে ইংল্যান্ড। আর মেলবোর্ন টেস্টে হারলেই এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি হারের রেকর্ডে ভাগ বসাবে দলটি। ১৮ বছর আগে যে রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ।

তবে মেলবোর্ন টেস্টে দলটি দ্বিতীয় দিন শেষেই যে অবস্থানে চলে গেছে, তাতে রুটের রেকর্ডেও লজ্জা থেকে বাঁচতে পারে কি-না তা নিয়েও আছে সংশয়। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ১৮৫ রানে গুটিয়ে যাওয়া ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসেও পড়েছে বিপাকে, ৪ উইকেট খুইয়ে ৩২ রান তুলে শেষ করেছে দ্বিতীয় দিন। মাঝে অস্ট্রেলিয়া জেমস অ্যান্ডারসনের তোপ সামলে করেছে ২৬৭ রান, পেয়েছিল ৮২ রানের লিড। 

দ্বিতীয় দিনের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি অজিদেরও। ১ উইকেট হারিয়ে ৬১ রান নিয়ে দিন শুরু করা দলটি দিনের শুরু থেকেই উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। ভাগ্য ভালো একপাশ আগলে রেখেছিলেন আগের দিনের অপরাজিত ওপেনার মার্কাস হ্যারিস। ৭৬ রানের কার্যকরী এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। দল তাতে ভর করে পেয়েছে লিডের সাক্ষাৎ। 

হ্যারিসের অপর প্রান্তে উইকেট গিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। আগের দিন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে মিলে ৫৭ রানের একটা জুটি পেয়েছিলেন। পরের পঞ্চাশোর্ধ জুটিটা পেতে তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে পঞ্চম উইকেট পর্যন্ত। চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে স্টিভেন স্মিথের বিদায়ের পর ট্র্যাভিস হেডের সঙ্গে মিলে গড়েন ৬১ রানের জুটি। এর আগ পর্যন্ত বাকি তিন জুটিতে অজিরা পেয়েছিল যথাক্রমে ১৯, ৮ ও ২৬ রান।

হ্যারিস ফেরেন এরপরই। তবে অজিদের থিতু হয়ে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসার স্বভাবটা যায়নি এরপরও। তাই ৮২ রানের লিড নিয়েই শেষ হয় দলটির ইনিংস। তাতে অবশ্য জেমস অ্যান্ডারসনের অবদানও আছে বৈকি! আগের দিন ওয়ার্নারকে ফিরিয়েছিলেন, আজ ফেরান হ্যারিস, স্মিথ আর অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে। তাতেই অজিদের ইনিংস শেষ হয় ২৬৭ রানে।

পুরো সফরেই ইংলিশদের ব্যাটিং হচ্ছে যাচ্ছেতাই। মেলবোর্নের দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যত্যয় ঘটলো না তার। চলতি অ্যাশেজে ইংলিশ উদ্বোধনী জুটি তিন ওভারের বেশি টিকেছে একবার। আজ টিকলো দ্বিতীয়বারের মতো। তবে তাতে ইংল্যান্ডের লাভটা হলো না খুব একটা। রোরি বার্নসের বদলে দলে আসা জ্যাক ক্রলিও দলকে হতাশ করে ফেরেন দুই অঙ্কে যাওয়ার আগে। তিনে নামা দাভিদ মালান তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি! ৭ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ইংলিশরা রীতিমতো কাঁপছে তখন।

এরপর হাসিব হামিদও ফিরলেন আগের দুইজনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে। একই নিয়তি যখন হলো নাইটওয়াচম্যান জ্যাক লিচেরও, ২২ রানে তখন দলটির নেই ৪ উইকেট। 

এরপর রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা জো রুট আর বেন স্টোকস আর কোনো ক্ষতি হতে দেননি দলের। তবে আগের চারজন যা করে গেছেন, সেটা পুষিয়ে দিতে হলেও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে দু’জনকে। সেটা করতে পারলে হয়তো ইউসুফের এক পঞ্জিকাবর্ষে ১৭৮৮ রানের রেকর্ডও ভেঙে দেবেন রুট। তবে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে; সেটা করলেও দলকে এক বছরে সবচেয়ে বেশি হারের লজ্জা থেকে বাঁচাতে পারবেন তিনি?

না পারলে আরও বড় লজ্জার মুখেও পড়ে যেতে পারে তার দল। অজিদের ৮২ রানের লিডই যে পেরোনো হয়নি ইংলিশদের, যদি রুট স্টোকসও ব্যর্থ হন, তাহলে বড় সম্ভাবনা আছে তৃতীয় দিনেই ইনিংস হারের কবলে পড়ার! দল যে এখনো ৫০ রানে দাঁড়িয়ে, হাওয়া চার উইকেট!

এনইউ

Link copied