রাজনৈতিক চাপের কারণে পিএসজিতে থেকে গেছেন এমবাপে

Dhaka Post Desk

স্পোর্টস ডেস্ক

১৬ জুন ২০২২, ১০:৫৩ এএম


রাজনৈতিক চাপের কারণে পিএসজিতে থেকে গেছেন এমবাপে

রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েই দিচ্ছেন কিলিয়ান এমবাপে, এমন একটা গুঞ্জন গেল মৌসুমের পুরোটা জুড়েই ঘুরে বেড়িয়েছে ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যমে। তবে এমবাপে শেষমেশ রিয়াল মাদ্রিদকে হতাশ করে পিএসজিতেই থাকার ঘোষণা দেন গেল মাসে। ফরাসি তারকাকে রাজনৈতিক চাপের মুখে রেখে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে পিএসজি, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। 

গত বুধবার এল চিরিঙ্গিতো টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি কথা বলেন অনেক বিষয়ে। তবে এমবাপের রিয়াল মাদ্রিদে যোগ না দেওয়া বিষয়ে বলা তার কথাগুলোই মনোযোগ কেড়েছে সবচেয়ে বেশি। 

এমবাপের এই সিদ্ধান্ত স্বাধীনভাবে আসেনি বলে অভিযোগ তোলেন পেরেজ। বলেন, ‘এমবাপে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। তার স্বপ্ন ছিল রিয়াল মাদ্রিদে খেলার। আমরা গেল আগস্টেই কাজটা সেরে ফেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা তাকে ছাড়েনি। সে বলেই যাচ্ছিল, সে রিয়াল মাদ্রিদে খেলতে চায়। কিন্তু ১৫ দিনের মধ্যে পিএসজি পরিস্থিতিটা বদলে দিল। রাজনৈতিক চাপ, টাকা আর ক্লাবে তার অবস্থান বদলে যাওয়ার ফলে এমবাপে তার সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেছে।’

এমবাপকে ধরে রাখতে পিএসজি ফ্রান্সের সভাপতি এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দুয়ারে গিয়েছিল বলে গুঞ্জন আছে ফরাসি সংবাদ মাধ্যমে। ম্যাক্রো এমবাপের সঙ্গে কথোপকথনের কথা স্বীকার করলেও জানান, এমবাপে স্বাধীনভাবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

সম্প্রতি আরএমসি স্পোর্তকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এমবাপের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল, তবে সে নিজের বিবেককে প্রাধান্য দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে দেখিয়েছে যে সে পরিণত হয়ে উঠেছে, নিজের ক্যারিয়ারের দিকে সে মনোযোগী;  তার  দায়িত্বজ্ঞান আছে, আর সে দলের প্রতি নিবেদিতও।’

তবে যে কারণেই হোক, এমবাপে রিয়ালে যাননি শেষমেশ। সে কারণেই তার ওপর চটেছেন রিয়াল সভাপতি। বলেছেন, ‘এই এমবাপে আমার এমবাপে নয়, সে অন্য একজন, যে তার স্বপ্নটাই বদলে নিয়েছে। সে বদলে গেছে, তাকে অনেক কিছুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, চাপ দেওয়া হয়েছে, সে ইতোমধ্যেই অন্য এক ফুটবলার বনে গেছে। রিয়াল মাদ্রিদের ওপরে কোনো খেলোয়াড় নেই। সে একজন দারুণ খেলোয়াড়, অন্যদের চেয়ে বেশিই জিততে পারবে সে, কিন্তু এটা একটা দলগত খেলা। আমাদের নিজস্ব কিছু নীতিমালা আছে, কর্মপদ্ধতি আছে, যা কখনো আমরা বদলাতে চাই না।’

এনইউ/এটি

Link copied