কমলাপুর একাডেমি নিয়ে শঙ্কা

Dhaka Post Desk

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:৪৯ পিএম


কমলাপুর একাডেমি নিয়ে শঙ্কা

বেশ ঘটা করেই কমলাপুর স্টেডিয়ামে একাডেমি উদ্বোধন করেছিল বাফুফে। সাধারণ একাডেমির সুযোগ সুবিধার চেয়ে কম সুবিধা নিয়ে শুরু করলেও এর সঙ্গে ‘এলিট’ যোগ করেছিল দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বাফুফে। সেই এলিট একাডেমির ভবিষ্যত খুব স্বচ্ছ দেখছেন না বাফুফের সহ-সভাপতি ও ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক।

আজ ডেভেলপমেন্ট কমিটির সভা শেষে ব্রিফিংয়ের এক পর্যায়ে একাডেমি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। বলেন, ‘একাডেমি পরিচালনা ব্যয় অনেক। আমরা সেটা করে যাচ্ছি। এভাবে কত দিন চালিয়ে যেতে পারব সেটাই বিষয়’।

২০১৫ সালে সিলেট বিকেএসপি বাফুফে একাডেমি করেছিল। বছর খানেক সেই একাডেমির পরিচালনা করার পর বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বছর দুই একাডেমির কার্যক্রম ছিল না। বেরাইদে অস্থায়ীভাবে কিছুদিন একাডেমি পরিচালিত হয়েছে। এরপর কমলাপুর স্টেডিয়ামে স্থায়ীভাবে আবাসিক ক্যাম্প শুরু হয়। অর্থ সংস্থানের জন্য সেটাও এখন হুমকির মুখে। 

একাডেমির ভবিষ্যত নির্ভর করছে মূলত সরকারের সাহায্যের ওপর। বাফুফে সরকারের কাছে কয়েকশ’ কোটি টাকার প্রকল্প দিয়েছে। সেই প্রকল্প অনুমোদন হলে একাডেমি পরিচালনা করতে সমস্যা হবে না। এত বড় প্রকল্প সহসাই অনুমোদন হবে কি না সে নিয়ে সংশয় রয়েছে। 

আজকের সভায় আগামী জুনে অ-১৭ এবং ১৯ দলের দুটি টুর্নামেন্ট রয়েছে। সেই বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। দুটি টুর্নামেন্টেই ডেভেলপমেন্ট কমিটির লক্ষ্য শিরোপা,‘আমরা দু’টি টুর্নামেন্টেই চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। এজন্য প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার জন্য মালয়েশিয়াসহ অন্য দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। দেশে বা দেশের বাইরে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা নির্ভর করবে মূলত অর্থ সংস্থানের ওপর’। 

এএফসির অর্থায়নে বাফুফেতে বেতনভুক্ত কোচের সংখ্যাও আজ চূড়ান্ত হয়েছে। নারী দলের আট জন বয়সভিত্তিক পুরুষ ফুটবলের জন্য ১১ জন এবং একজন টেকনিক্যাল স্টাফ মিলিয়ে মোট ২০ জন এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন। দেশীয় কোচদের বেতন না বাড়লেও কয়েক মাস আগে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলির বেতন ঠিকই বৃদ্ধি পেয়েছে। 

এজেড/এফআই

Link copied