১৪ ম্যাচের জন্য ২৫০ বল!

বলের খেলা ফুটবল। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সেই বল ক্রয় ও হিসাবে গরমিলের জন্য এখন প্রশ্নবিদ্ধ। এর আগে সাবিনাদের মিয়ানমার সফরের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে দেওয়া বাজেট নিয়ে প্রশ্ন ছিল। এমন প্রশ্নবিদ্ধ আরও একটি বাজেট পাওয়া গেছে।
দশ বছর পর চলতি এপ্রিল মাসেই কোটি টাকার সুপার কাপ টুর্নামেন্ট আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছিল বাফুফে। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই টুর্নামেন্ট আলোর মুখ দেখেনি। যার জন্য ৩ কোটি ৫ লাখ টাকার বাজেট তৈরি করেছিল ফুটবল ফেডারেশন। সেই ৩ কোটি ৫ লাখের মধ্যে ২১ লাখ ২৫ হাজার টাকা বলের জন্য বরাদ্দ রেখেছিল বাফুফে।
আরও পড়ুন >> সোহাগ : কম্পিটিশন ম্যানেজার থেকে ফেডারেশনের সর্বেসর্বা!
সুপার কাপের ম্যাচ সংখ্যা ছিল ১৪ টি। এই ১৪ ম্যাচের জন্য ২৫০টি বলের হিসাব দেওয়া হয়েছে। ফলে ম্যাচ প্রতি গড় বলের সংখ্যা ১৮টি করে। যা অত্যন্ত অস্বাভাবিক। গত মৌসুম ও চলতি মৌসুমের শুরুতে বলের সঙ্কট প্রকট ছিল। প্রিমিয়ার লিগের অনেক ম্যাচে পর্যাপ্ত বল ছিল না। অনেক ম্যাচে ২-৩টি বল দিয়েও খেলা চালানো হয়েছে। অথচ সুপার কাপের জন্য ম্যাচ প্রতি প্রায় ১৮ বলের হিসাব রাখা হয়েছিল।
চলতি প্রিমিয়ার লিগে ক্লাবগুলোকে অনুশীলনের জন্য কোনো বলই দেওয়া হয়নি। সাধারণত ম্যাচের জন্য নির্ধারিত বলের সঙ্গে অনুশীলনের সামঞ্জস্য রাখতে ফেডারেশন থেকে বল দেওয়া হয়। সেই ধারাবাহিকতায় বিগত মৌসুমগুলোতে দেওয়া হলেও এবার ক্লাবগুলো ফেডারেশন থেকে কোনো বল পায়নি। ফুটবলের সবচেয়ে বড় অনুষঙ্গ বল নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে স্বচ্ছতার অভাব ফুটে উঠেছে!
আরও পড়ুন >> ‘ফিফার প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পক্ষপাতদুষ্ট’
২০১৬-২০ এই সময়কালে বাফুফের আর্থিক বিষয়াদি ও কেনাকাটা নিয়ে তদন্ত করেছে ফিফা। সেই তদন্তেও বল কেনায় অসঙ্গতি পেয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এই কেনাকাটা ও অনুমোদনের সঙ্গে জড়িতরা ফিফার সদরদফতর জুরিখে গিয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে এসেছেন। সেই ব্যাখ্যা দিয়ে আসার পরও বলের অস্বাভাবিক হিসাব কষছে বাফুফে। সাম্প্রতিক সময়ে বলের এই হিসাব নিকাশে অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত। একই সময়েও অন্য খাতও কতটা স্বচ্ছ, স্বাভাবিকভাবেই সেই প্রশ্ন ওঠে!
এজেড/এএইচএস