ভেন্যুর সন্ধানে আবাহনী
পেন্ডুলামের মতো দুলছিল ঢাকা আবাহনীর এএফসি কাপের প্লে অফ ম্যাচটি। ১৪ এপ্রিল ঢাকায় ম্যাচ আয়োজনের জন্য ঢাকা আবাহনীকে চাপ দিয়ে আসছিল এএফসি। অবশেষে তারা সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে।
শনিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঢাকা আবাহনী ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে এএফসি জানিয়েছে, ১৪ এপ্রিল ঢাকায় ম্যাচ আয়োজন সামগ্রিকভাবে অসম্ভব।
ঢাকা আবাহনীর ম্যানেজার ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাহী সদস্য সত্যজিৎ দাস রুপু বলেন, ‘আমরা ঢাকাতেই ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের বিষয়টি এএফসি অবগত। এজন্য তারা আমাদের বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে।’
বিকল্প প্রস্তাব সম্পর্কে রুপু বলেন, ‘২১ এপ্রিল ম্যাচ খেলতে হবে। আমাদের নিরপেক্ষ ভেন্যু খুঁজতে হবে। নিরপেক্ষ ভেন্যু খুঁজে না পেলে ২১ এপ্রিল মালদ্বীপ গিয়ে খেলতে হবে।’
নিরপেক্ষ ভেন্যু খোঁজার জন্য এএফসি আবাহনীকে বেশি সময় দিচ্ছে না। রোববারের (১১ এপ্রিল) মধ্যে তাদের জানাতে হবে ভেন্যুর বিষয়টি। আবাহনী নেপালের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আজ (১১ এপ্রিল) নেপাল দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করবে আবাহনী। নেপালের পাশাপাশি ভারতেও বিকল্প হিসেবে ভাবছে। কারণ মালদ্বীপের ঈগলসের বিরুদ্ধে জিতলে ভারতের ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলতে হতে পারে ২৮ এপ্রিল।
তবে ভারতের করোনা সংক্রমণ বেশি হওয়ায় নেপালের দিকেই নজর বেশি আবাহনীর। ভারতের ক্লাবকে নেপালের আর্মি হারাতে পারলে সেক্ষেত্রে আবার নেপালেই খেলতে হবে আবাহনীকে। কোনো কারণে নেপাল বা অন্য নিরপেক্ষ ভেন্যু না পেলে শেষমেশ মালদ্বীপেই যেতে হবে আবাহনীকে। ফুটবল ফেডারেশন ও আবাহনী আশাবাদী অল নেপাল ফুটবল এসোসিয়েশন বাংলাদেশের ক্লাবের কঠিন সময়ের পাশে দাঁড়াবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল নেপাল থেকে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট খেলে এলো এক সপ্তাহ আগে।
উল্লেখ্য, এএফসি কাপের পর্বে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস খেলবে। আবাহনী গত আসরে মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে প্লে অফ অ্যাওয়ে গোলের হিসেবে বাদ পড়েছিল।
এজেড/এইচকে