এশীয় ফুটবলারকে বর্ণবাদী আচরণ, ‘ঘৃণ্য’ বলল টটেনহ্যাম
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বর্ণবাদী আচরণ যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোববার রাতেই যেমন, টটেনহ্যাম হটস্পারের দক্ষিণ কোরিয়ান ফুটবলার সন হিউং মিনকে লক্ষ্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধেয়ে এল বর্ণবাদী মন্তব্য। এরপর এক টুইটে ফুটবলারের পাশে দাঁড়ায় ক্লাবটি, ‘ঘৃণ্য’ এ আচরণের তীব্র নিন্দাও জানায় স্পার্সরা।
রোববার রাতে নিজেদের মাঠে ৩৭ মিনিটেই গোল হজম করতে পারত টটেনহ্যাম। কিন্তু এডিনসন কাভানির গোলটির বিল্ড আপে স্কট ম্যাকটমিনের ফাউলের শিকার হয়েছিলেন সন। ভিএআরে যা ধরা পড়ে, বাতিল হয় গোলটি।
এর কিছু পরে এই সনের গোলেই এগিয়ে যায় টটেনহ্যাম। শেষমেশ ৩-১ গোলে হারের বিস্বাদই নিতে হয় দলটিকে। তবে এরপরই ঘটে সে ‘ঘৃণ্য’ ঘটনা। টটেনহ্যামের টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মন্তব্য বিভাগে সনকে লক্ষ্য করে ধেয়ে আসে অনেক বর্ণবাদী মন্তব্য।
এর প্রতিবাদে আরও এক টুইট করে টটেনহ্যাম। সেখানে লেখা হয়, ‘আরেকটা ম্যাচডে, এবং আরও একটা ঘৃণ্য বর্ণবাদী আচরণের শিকার হলেন আমাদের কেউ। আবারও একে প্ল্যাটফর্মগুলোর কাছে রিপোর্ট করা হয়েছে। এখন থেকে আমরা প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে এর পুনঃমূল্যায়ন করব, আর কার্যকর ব্যবস্থাও নির্ধারণ করব।’ এরপর সনের প্রতি ক্লাব কর্তৃপক্ষের বার্তাও থাকে। বলা হয়, ‘আমরা তোমার পাশে আছি সনি।’
এর আগে সনের সতীর্থ ডাভিনসন সানচেজও অনলাইনে বর্ণবাদের শিকার হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, প্রিমিয়ার লিগের আরও অনেক খেলোয়াড়কেই বর্ণবাদের তীরে বিদ্ধ করা হয়েছে শেষ এক-দেড় বছরে। অনলাইনেই ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড অ্যান্থনি মার্শিয়াল, অ্যাক্সেল তুয়ানজেইবে, মার্কাস র্যাশফোর্ড ও চেলসির রিজ জেমসের প্রতিও ধেয়ে এসেছে বর্ণবাদী মন্তব্য।
ইংলিশ ফুটবল অবশ্য এর প্রতি ভালোভাবেই নজর দিয়েছে শুরু থেকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর প্রতি চাপও সৃষ্টি করছে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। ইতোমধ্যেই ইনস্টাগ্রাম ও টুইটার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ বিষয়ে অঙ্গীকারও পেয়েছে ইংলিশ ফুটবল, যদিও বর্ণবাদী মন্তব্যের হার দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
বর্ণবাদ বিষয়ে সপ্তাহখানেক আগেই বেশ উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন টটেনহ্যাম কোচ জোসে মরিনিও। বলেছিলেন, বর্ণবাদের ঝক্কি এড়াতে অন্য অনেক ফুটবল দলের মতো তার দলেরও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বয়কট করা উচিত।
এনইউ/এটি