১৩ বছর পর ইউরোর নকআউটে নেদারল্যান্ডস
নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইউক্রেনের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর এক অভিজ্ঞতাই পেয়েছিল ডাচরা। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রিয়াকে কোনো সুযোগই দেয়নি তারা, দুই অর্ধের দুই গোলে তুলে নিয়েছে জয়। এর ফলে ২০০৮ সালের পর প্রথমবারের মতো ইউরোর নকআউট পর্বও নিশ্চিত হয়ে গেছে নেদারল্যান্ডসের।
বলের দখলে পিছিয়ে থাকলেও ডাচরা তা কাজে লাগিয়েছে ভালোভাবেই। ১২ মিনিটে বক্সে আগুয়ান ড্যানজেল ডামফ্রিসকে ফাউল করে বসেন অস্ট্রিয়ার ডিফেন্ডার ডেভিড আলাবা। পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেন মেম্ফিস ডিপাই। সেখান থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ডাচদেরকে। বিরতিতেও যায় এই ব্যবধান নিয়েই।
তবে গোলমুখে আরেকটু কার্যকর হলে হয়তো ব্যবধানটা বাড়তেও পারত দলটির। ২৪ মিনিটে সেই ডিপাইয়ের শট কাঁপায় পাশের জাল। এরপর ৪০ মিনিটে আরও একটা সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার কাছাকাছি থাকা এই ফরোয়ার্ড। ফন অ্যানহল্টের স্কয়ার করা বলে করা তার আগুনে শট গিয়ে কাঁপায় ক্রসবার, এর মিনিট দুয়েক পর প্রথম ম্যাচের গোলদাতা জর্জিনিও ওয়াইনাল্ডামের শট ব্লক করে অস্ট্রিয়া রক্ষণ। ফলে ১-০ ব্যবধান নিয়ে সন্তুষ্ট হয়েই বিরতিতে যেতে হয় ডাচদের।
বিরতির পরও চলেছে একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি। বলের দখল নিয়েও প্রতিপক্ষ রক্ষণ ভাঙতে পারেনি অস্ট্রিয়া, আর ডাচরা প্রতিপক্ষ অর্ধে সুযোগ সৃষ্টি করেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না। তবে পরিস্থিতি বদলায় ৬৭ মিনিটে। ডিপাইয়ের বাড়ানো বল থেকে বক্সে ঢুকে ডোনিয়েল মালেন পাস বাড়ান ডামফ্রিসকে। কাছে থেকে তার করা শটটা গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে জড়ায় জালে। আগের ম্যাচের জয়সূচক গোলটা করা তার পা থেকেই আসে দ্বিতীয় ম্যাচে দলের জয় নিশ্চিত করা গোলটি।
এরপরই কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে জয় নিশ্চিত করেছে কোচ ফ্র্যাঙ্ক ডি বোয়েরের শিষ্যরা। ফলে ১৩ বছর পর ইউরোয় দলের শেষ ষোলও নিশ্চিত হয়ে গেছে। এর আগে ২০০৮ ইউরোয় শেষ আটে খেলেছিল তৎকালীন কোচ বার্ট ফন মারউইকের নেদারল্যান্ডস। এরপর এই প্রথম ইউরোর শেষ ষোলয় উঠল দলটি। ২০১২ সালের আসরে বিদায় নিয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকে, পরের বার তো বাছাইপর্বই পেরোতে পারেনি!
প্রথম দুই ম্যাচে জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের চূড়ায় আছে নেদারল্যান্ডস। আর সমান তিন পয়েন্ট নিয়ে ইউক্রেন, আর অস্ট্রিয়া আছে যথাক্রমে দুই ও তিনে। উত্তর মেসিডোনিয়া এখনো পয়েন্টের খাতা খুলতে পারেনি। শেষ ম্যাচে আগামী সোমবার তাদেরই মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডস। একই সময়ে অস্ট্রিয়া আর ইউক্রেন লড়বে দ্বিতীয় স্থানের লড়াই।
এনইউ